২১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ
অ্যান্টিগা টেস্টের শুরুতে নতুন বলে কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনাররা। ধীরে ধীরে তারা স্ট্রাইকরেট বাড়িয়ে রান তুলেছেন। পরবর্তীতে তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটিটা এসেছে অষ্টম উইকেটে। টেল-এন্ডার কেমার রোচকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরি করা জাস্টিন গ্রিভস ১৪১ রানের জুটি গড়েন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ সুবিধা করতে পারেনি। চিরাচরিত ধারায় ২১ রানেই হারিয়েছে ২ উইকেট!
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে দিনের ২০ ওভারেরও বেশি সময় বাকি থাকতে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক ক্যারিবীয়রা। তার আগে ৯ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৪৫০ রান। আগেরদিনই নিজেদের চারশ রানের লক্ষ্য জানিয়েছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটার মিকাইল লুইস। এমনকি নিজের সেঞ্চুরির আক্ষেপও অন্য কেউ ঘুচাবেন, এমন বিশ্বাসই ছিল তার। দুটিই ঘটেছে গ্রিভসের কল্যাণে। দলীয় পুঁজি সাড়ে চারশ করে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা এই ডানহাতি ব্যাটার অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিপরীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনারই ফিরেছেন মাত্র ২১ রানে। ইনিংসের দশম ওভারে জেইডেন সিলসের বলে জাকির হাসান ১৫ রান করে বোল্ড হয়ে যান। অফ স্টাম্পের ওপর দিয়ে যেতে থাকা বলে ব্যাট চালিয়ে এডজ হয়ে মিডল ও লেগ স্টাম্প হারান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় জীবন পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, আলজারি জোসেফের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৫ রান করে।
দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ১৯ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন মুমিনুল হক (৭) ও শাহাদাত হোসেন (১০)। ফলে ক্যারিবীয়দের চেয়ে সফরকারীরা এখনও ৪১০ রানে পিছিয়ে আছে। তৃতীয় দিন উইন্ডিজদের দেখানো পথেই বড় জুটি গড়তে হবে টাইগারদের। দুটি টেস্ট এবং টানা চতুর্থ সিরিজ হারের পর এটাই যে মেহেদী হাসান মিরাজদের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্যারিবীয় সফর!
এর আগে ৫ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১১ রান যোগ করতেই হারিয়ে ফেলেছিল আরও ২ উইকেট। এরপরের গল্পটা স্বাগতিকদের দাপটের। বাংলাদেশকে হতাশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোরবোর্ড ক্রমাগত শক্তিশালী করেছে। গ্রিভস ও রোচের ১৪০ রানের রেকর্ড অষ্টম উইকেট জুটিই মূলত ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে হাসান মাহমুদের শিকার হয়েছেন কেমার রোচ।
অন্যদিকে মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করার পর ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন গ্রিভস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ সর্বোচ্চ তিনটি এবং তাসকিন আহমেদ ও মিরাজ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন। হাসান দুই উইকেটের কল্যাণে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন। এক ক্যালেন্ডার বছরে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক এখন এই ডানহাতি বোলার। চলতি বছরেই টেস্টে অভিষেক হওয়ার পর ক্যারিয়ারের ৮ম ম্যাচে এসে পেয়েছেন ২৫তম উইকেট।
এএইচএস