হাসানের রেকর্ডের পর রোচ-গ্রিভসে বাড়ছে বাংলাদেশের হতাশা
২৫০ রানে ৫ উইকেট থেকে দিনের শুরু হয়েছিল অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিন। আগের দিনে দারুণ বোলিং করে উইকেটশূন্য ছিলেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় দিনে সেটারই প্রতিদান পেলেন যেন। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে নিজের নামটা নতুনভাবে তুলেছেন তিনি। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে দুই উইকেট নিয়ে গড়েছেন নতুন ইতিহাস।
তবে প্রথম ঘন্টায় ২ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধাক্কা সামলে নিয়েছে কেমার রোচ ও জাস্টিন গ্রিভসের জুটিতে। দুজন মিলে কাটিয়ে দিয়েছেন ১৪ ওভারের বেশি। সেটা বাংলাদেশের হতাশাও বাড়িয়েছে অনেকখানি। দুজনের ৮৮ বলে ৭৫ রানের জুটি পার করেছে দলীয় ৩০০ রান। ১১০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩৩৬ রান।
বিজ্ঞাপন
দিনের প্রথম ওভারেই আজ হাসান মাহমুদ পেয়েছেন উইকেটের দেখা। এলবিডব্লু করে ফিরিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জসুয়া দা সিলভাকে। ক্যারিবিয়ান উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে হাসানের ভাগ্যটা ভালো বলতেই হয়। আম্পায়ার্স কলে আউট হন এই ব্যাটার। খানিক পর আবার আঘাত। এবারে ফিরলেন আলঝারি জোসেফ। একই লেন্থে বল ফেলেছিলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় গালি অঞ্চলে। উড়ন্ত ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট এনে দেন জাকির হাসান। একই ওভারে আউট হতে পারতেন কেমার রোচও।
তবে এই দুই উইকেটেই করেছেন ইতিহাস। এক ক্যালেন্ডার বছরে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক এখন হাসান মাহমুদ। ২০২৪ সালেই অভিষেক হয়েছে ক্রিকেটের বনেদি এই ফরম্যাটে। এরপরেই নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করেছেন লঙ্গার ফরম্যাটে। ক্যারিয়ারের ৮ম ম্যাচে এসে পেয়েছেন ২৫তম উইকেট।
এক পঞ্জিকাবর্ষে টাইগার পেসারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার কীর্তি। এর আগের রেকর্ড ছিল শাহাদাত হোসেন রাজীবের। নিয়েছিলেন ২৩ উইকেট। তবে সাবেক এই পেসারের খেলতে হয়েছিল ৯ টেস্ট। এক টেস্ট হাতে রেখেই তার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
কিন্তু রেকর্ড আর উদযাপনের গল্প এরপর আর বাড়েনি। দুজনে মিলে বাংলাদেশের বোলারদের ভালোই সামলেছেন। মেহেদি হাসান মিরাজ হাতে থাকা সবাইকে ব্যবহার করেও উইকেটের দেখা পাননি। বলতে গেলে খুব একটা সুযোগই দেননি দুই ব্যাটার। লাঞ্চ বিরতিতে তাই কিছুটা অস্বস্তি নিয়েই যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
জেএ