জোড়া উইকেটে নতুন ইতিহাস লিখলেন হাসান
দরকার ছিল এক উইকেটের। হাসান পেলেন দুটি। ক্যারিবিয়ান ভূমি অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে নিজের নামটা নতুনভাবে তুলেছেন তিনি। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে দুই উইকেট নিয়ে গড়েছেন নতুন ইতিহাস।
এক ক্যালেন্ডার বছরে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক এখন হাসান মাহমুদ। ২০২৪ সালেই অভিষেক হয়েছে ক্রিকেটের বনেদি এই ফরম্যাটে। এরপরেই নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করেছেন লঙ্গার ফরম্যাটে। ক্যারিয়ারের ৮ম ম্যাচে এসে পেয়েছেন ২৫তম উইকেট।
বিজ্ঞাপন
এক পঞ্জিকাবর্ষে টাইগার পেসারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার কীর্তি। এর আগের রেকর্ড ছিল শাহাদাত হোসেন রাজীবের। নিয়েছিলেন ২৩ উইকেট। তবে সাবেক এই পেসারের খেলতে হয়েছিল ৯ টেস্ট। এক টেস্ট হাতে রেখেই তার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
রেকর্ড গড়ার সকালে বাংলাদেশের দুই সাফল্যও এসেছে তারই হাত ধরে। আগের দিন উইকেট পাননি। তবে বোলিংটা করেছিলেন দারুণ। একদিন পর এসে যেন পুরস্কার পেলেন এই পেসার। দিনের প্রথম ওভারেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা।
এলবিডব্লু করে ফিরিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জসুয়া দা সিলভাকে। ক্যারিবিয়ান উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে হাসানের ভাগ্যটা ভালো বলতেই হয়। আম্পায়ার্স কলে আউট হন এই ব্যাটার। খানিক পর আবার আঘাত। এবারে ফিরলেন আলঝারি জোসেফ। একই লেন্থে বল ফেলেছিলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় গালি অঞ্চলে। উড়ন্ত ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট এনে দেন জাকির হাসান। একই ওভারে আউট হতে পারতেন কেমার রোচও।
আরও পড়ুন
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার বছরে টেস্ট ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারী তাইজুল ইসলাম। ২০১৮ সালে ৭ টেস্টেই পেয়েছিলেন ৪৩ উইকেট। একই বছর ৮ টেস্টে ৪১ উইকেট ছিল মেহেদি হাসান মিরাজের। এক বছরে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে আর কেউই ৪০ উইকেট পাননি।
হাসান মাহমুদ ২৫ উইকেট নিয়ে চলে এসেছেন শীর্ষ দশে। সেটাও অবশ্য যৌথভাবে। যদিও পেসার হিসেবে এই তালিকায় শীর্ষ দশেও তিনিই একমাত্র।
জেএ