ক্যারিবীয় শিবিরে জোড়া আঘাত তাসকিনের
দুটি টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে একই ফরম্যাটে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান মিরাজের দলের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর বড় চ্যালেঞ্জ। সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে অধিনায়ক মিরাজ আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুরু থেকে টাইট বোলিংয়ে ক্যারিবীয়দের চাপে রাখলেও সাফল্য এলো ম্যাচের চতুর্দশ ওভারে।
স্বাগতিক অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাফেটকে এলবিডব্লু’র ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য দিলেন তাসকিন আহমেদ। এর আগপর্যন্ত অবশ্য ডানহাতি এই ব্যাটারকে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। আউট হয়ে ফেরার আগে খেলেছেন ৩৮ বলে ৪ রানের ইনিংস। তাসকিনের কিছুটা লাফিয়ে ওঠা অফ-স্টাম্পের বলে ব্যাট চালিয়ে স্পর্শ পাননি ব্রাফেট। ছোট ফাঁকা জায়গা খুঁজে নিয়ে বল আঘাত হানে তার পায়ে। রিভিউ নিয়েও সফল হননি ব্রাফেট।
বিজ্ঞাপন
দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। পরের ওভারে আক্রমণে এসে আবারও সফল তাসকিন। ওয়ানডাউনে নামা কেসি কার্টি তার বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছেন তাইজুল ইসলামের হাতে। ৮ বল খেলে ফিরলেন ০ রানে। আর কোনো রান যোগ না হতেই স্বাগতিকদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হলো।
এর আগে শুরুটা হয় হাসান মাহমুদের একের পর এক সুইংয়ে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দারুণ বল করেছেন শরিফুল ইসলামও। ফলে শুরুতে ব্রাফেট–লুইসকে নতুন বলের চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই সামাল দিতে হয়েছে। তবে ভালো বোলিং করলেও প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ কোনো উইকেট নিতে পারেনি। তাসকিন উইকেট নিলেন ১৪তম ওভারে।
ঘুরে দাঁড়ানোর এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে নেমেছে। ইনজুরির কারণে টেস্ট সিরিজ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। শান্তর জায়গায় একাদশে আছেন শাহাদাত হোসেন দীপু। অন্যদিকে, ৪ বিশেষজ্ঞ পেসারের পাশাপাশি আরও একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আছে স্বাগতিকদের একাদশে আছে, সবমিলিয়ে ৫ জন পেসার নামিয়েছে তারা।
এএইচএস