যেকোনো ফরম্যাটেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য ক্রিকেটবিশ্বে খ্যাতি রয়েছে বীরেন্দর শেবাগের। তার পথ ধরেই এবার ২২ গজে ছেলে আর্যবীর শেবাগ। সাবেক এই ভারতীয় তারকার ১৭ বছর বয়সী ছেলে দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ২৯৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছে। এরপর মজা করেই আর্যবীরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শেবাগ। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন– ২৩ রানের জন্য ছেলে ফেরারি গাড়ি হাতছাড়া করেছে।

ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের দলগুলো চারদিনের টুর্নামেন্ট কুচবিহার ট্রফিতে অংশ নিচ্ছে। যেখানে শেবাগপুত্র আর্যবীর দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে মেঘালয়ার বিপক্ষে গতকালই ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের তৃতীয় দিনে আজ (শুক্রবার) তার সুযোগ ছিল সেটাকে ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পরিণত করার। তবে তিন রানের দূরত্বে তার ইনিংস থেমেছে। এর বাইরেও আরেকটি সমীকরণ ছিল আর্যবীরের সামনে, সেটি ছিল বাবা শেবাগের দেওয়া ৩১৯ রানের চ্যালেঞ্জ। তার সেই রেকর্ড ভাঙতে পারলে ছেলেকে ফেরারি গাড়ি উপহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

২০১৫ সালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্যবীরের বাবা এবং ক্রিকেট ইতিহাসেরই সবচেয়ে বিধ্বংসী ওপেনারদের একজন শেবাগ একটি তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি তার সন্তানদের বলেছেন, ‘স্কুলের ক্রিকেটেও যদি ৩১৯ রান পেরোতে পারো, তাহলে ফেরারি উপহার দিব।’ ২৩ রানের জন্য বাবার সেই রেকর্ডও ভাঙতে পারল না আর্যবীর। সেটাই মনে করিয়ে দিয়ে ছেলেকে রানের তৃষ্ণাটা মনে করিয়ে দিলেন শেবাগ।

আর্যবীরকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সাবেক এই ভারতীয় ব্যাটার লিখেছেন, ‘খুব ভালো খেলেছ আরিয়ান। মাত্র ২৩ রানের জন্য ফেরারি হারিয়েছ। কিন্তু খুব ভালো। নিজের ভেতরের এই আগুনটা বাঁচিয়ে রাখো। আশা করব বাবার মতো সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি ও ত্রিপল সেঞ্চুরি করবে। খেলতে থাকো।’

মূলত বাবার চ্যালেঞ্জ খুব কাছে গিয়েও ছোঁয়া হলো না আর্যবীরের। যদিও বাবার মতোই রুদ্রমূর্তিতে ব্যাট করে তুলেছেন ২৯৭ রান। ৩০৯ বলের এই ইনিংসে তার ছক্কা ছিল ৩টি ও চার ৫১টি। স্ট্রাইক রেট ৯৬.১২। ইনিংসে বাউন্ডারির পরিমাণ ৭৪.৭৫%। ১৮৬ বল ডট দিলেও ৬৩টি সিঙ্গেল ও ৬ বার ২ রান নিয়ে প্রান্ত অদল-বদলেও পরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে ১৭ বছর বয়সী আর্যবীর।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম ত্রিশতত করেছিলেন শেবাগ। ২০০৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি ৩০৯ রান করেছিলেন। তার চার বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন ৩১৯ রান। সেটা ভাঙার চ্যালেঞ্জই ছেলেদের দিয়েছিলেন শেবাগ। তবে ক্রিকেটমহলে বলা হচ্ছে, বাবার ছায়া দেখা যাচ্ছে আর্যবীরের ব্যাটিংয়ে। জায়গা দাঁড়িয়ে তার মতো করেই বাউন্ডারি হাঁকাতে পছন্দ করে এই কিশোর।

এএইচএস