আসন্ন ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হলেও, সেটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে সংশয় কাটছে না। পাকিস্তানের মাটিতে ভারত খেলতে যাবে না বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে তাদের ছাড়াই এই টুর্নামেন্ট হবে, নাকি ভেন্যু অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হবে জবাব মিলছে না সেই প্রশ্নের। এরই মাঝে টুর্নামেন্টটির পরিচালক হিসেবে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সৈয়দ সুমায়ের আহমদকে নিয়োগ দিলো পিসিবি।

সম্প্রতি তাকে পিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরপরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের সাবেক এই যুগ্ম সচিব। প্রশাসনিক পর্যায়ে সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তার অভিজ্ঞতা টুর্নামেন্টটিতে কাজে লাগবে বলে আশা পিসিবির। এর আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিওও ছিলেন সালমান নাসের, সম্প্রতি তাকে পিসিবি চেয়ারম্যানের পরামর্শক ও পিএসএলের সিওও করা হয়েছে।

সুমায়েরকে আসন্ন আইসিসির মেগা ইভেন্টের দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি বলেন, ‘প্রশাসনিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সুমায়ের সাংগঠনিকভাবে দারুণ দক্ষ। এরই সঙ্গে ক্রিকেটের প্রতিও তার আবেগ রয়েছে। আমি আশাবাদি যে তিনি স্মরণীয় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর আয়োজন করবেন। যেমনটা আইসিসি অফিসিয়ালস এবং ভক্তরাও দেখতে চায়।’

বিশ্বমানের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণেও বেশ আত্মবিশ্বাসী পিসিবি প্রধান, ‘বিশ্বমানের ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজনে পাকিস্তান নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করবে। বিশ্বের সব ক্রিকেটার ও ভক্তদের আমরা এই টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানাই, যাতে তারা আমাদের ক্রিকেট আবেগ ও স্বনামধন্য আতিথেয়তা উপভোগ করতে পারে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই টুর্নামেন্টটি বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে। পাকিস্তানের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে সুমায়ের বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনে সর্বোচ্চ মানের ইভেন্ট উপহার দেবেন বলেও নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

সবমিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে অনড় পাকিস্তান। নিজ অবস্থানে অনড় ভারতও। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আনুষ্ঠানিক সূচি ঘোষণার শেষ সময় ছিল ১৯ নভেম্বর। তবে সেটি আজও ঘোষণা হয়নি। এরই মাঝে চলছে টুর্নামেন্টটির ট্রফি ট্যুর। পাকিস্তানে আইসিসির আসর ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে আছে ব্যাপক আকারের শঙ্কা। একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট খেলতে যেতে আগ্রহী নয়, যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আকারের দড়ি টানাটানি। 

ভারতের প্রস্তাবনা ছিল– হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হোক এই টুর্নামেন্ট। কিন্তু পাকিস্তান এমন প্রস্তাবেও নারাজ। দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের মাঝেই পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবর, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই আর্থিক প্রলোভনের মাধ্যমে অন্যান্য দেশগুলোকে হাইব্রিড মডেলে যুক্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। একাধিক সূত্রের ভিত্তিতে এই খবর জানানো হয়েছে। তবে আইসিসি কর্মকর্তারা বিসিসিআইসহ সকল সদস্য বোর্ডের সঙ্গে এখনও আলোচনা অব্যহত রেখেছে। আইসিসি জোর দিয়ে জানিয়েছে, চূড়ান্ত সূচি সব অংশগ্রহণকারী দল এবং বোর্ডের সাথে আলোচনা করেই নির্ধারিত হবে।

এএইচএস