পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন এখন পর্যন্ত সংশয়ের মুখে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর দেশটিতে আইসিসি ইভেন্ট হবে কি না তা নিয়ে এখনো চলছে টানাপোড়েন। রাজনৈতিক কারণে ভারত এরইমাঝে টুর্নামেন্টে খেলতে যাবে না বলে জানিয়েছে। তাদের প্রস্তাব, হাইব্রিড মডেলে হোক এবারের মিনি বিশ্বকাপ। কিন্তু পাকিস্তান তাদের এমন প্রস্তাব মানতে নারাজ।  

পাকিস্তানের কয়েক দফায় হুমকির পরেও ভারত দেশটিতে খেলতে যাবে না তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। তার সবচেয়ে বড় নজির হতে পারে দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপ থেকে ভারতের নাম প্রত্যাহারের খবর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারত যাবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তার মাঝেই দৃষ্টিহীনদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো ভারত। 

ভারতের দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেট সংস্থার সচিব শৈলেন্দ্র যাদব দেশটির গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, এ বার আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে না দল। ২৩ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল। ভারতীয় দলকে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের দলকে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে প্রতিযোগিতা থেকে নাম তুলে নিতে হয়েছে ভারতকে।

শৈলেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, তাদের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কোনও চিঠি এখনও আসেনি। কিন্তু মৌখিক ভাবে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার জন্য ২৫ দিনের অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিযোগিতার দিন কাছে চলে এলেও অনুমতি পাইনি। তাই ফোন করেছিলাম। তখন জানিয়েছে, অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রতিযোগিতা থেকে নাম তুলে নিতে। মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশের পর আমরা বিশ্বকাপ থেকে নাম তুলে নিয়েছি।’ 

ভারতই অবশ্য প্রথম দল হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নাম সরিয়ে নেয়নি। এর আগে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও জানিয়ে দিয়েছে, তারা পাকিস্তানে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে না। অর্থাৎ, মোট চারটি দল বিশ্বকাপে খেলবে না। 

 

তবে ভারত অংশ না নিলেও দৃষ্টিহীনদের এই বিশ্বকাপ নির্ধারিত সময়ে শুরু হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক দেশ পাকিস্তান। দেশটির দৃষ্টিহীন ক্রিকেট বিভাগের নির্বাহী সৈয়দ সুলতান শাহ জানান, ‘বাকি সব দেশ পাকিস্তানে বিশ্বকাপের জন্য আসছে। যদি একটা দল না আসে, তা আমাদের প্রস্তুতিতে বাঁধা দেবে না।’ 

জেএ