বলের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত মুখ, প্রাণে বাঁচলেন আম্পায়ার
বলের আঘাত সামলাতে শরীরে নানা সরঞ্জাম পরে থাকেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু ম্যাচ পরিচালনাকারী আম্পায়ারদের নিরাপত্তা কে দেবে? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের জন্য তেমন কোনো ‘রক্ষাকবচ’ না থাকলেও, কিছু কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে হেলমেট ও হাতে ফাইবার শিল্ড দেখা যায় আম্পায়ারদের। তবে তেমন কিছু না থাকায় সরাসরি বলের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এক আম্পায়ার।
সেই আঘাত একটু এদিক-সেদিক হলে প্রাণঘাতি হতে পারত সেই বলটি। অস্ট্রেলিয়ার পার্থে তৃতীয় শ্রেণির একটি ক্রিকেট ম্যাচে আম্পায়ারিং করার সময় ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন টনি ডি’নব্রেগা। ম্যাচে ব্যাটারের নেওয়া জোরালো একটি শট সোজা গিয়ে লাগে আাম্পায়ার টনির মুখের ডানদিকে। তিনি চেষ্টা করেও বলের লাইন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
পরে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবিতে আঁচ করা যায়– আম্পায়ারের ডান চোখের ঠিক নিচে জোরালো আঘাত লেগেছে। চোখের নিচের অংশ এতটাই ফুলে গিয়েছে যে, প্রায় ঢেকে গেছে একটি চোখ। চোয়ালে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। লাল হয়ে রয়েছে পুরো মুখ। ঠোঁটের কোনাও ফোলা। রক্ত জমে কালশিটে দাগ হয়ে গিয়েছে। পরে আম্পায়ার টনির শারিরীক অবস্থার আপডেট জানিয়েছে ওয়েস্ট ওস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। সৌভাগ্যক্রমে টনির চোয়ালের কোনো হাড় ভাঙেনি বলে তারা নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন
তবে ওই আম্পায়ারের মুখে কোনো অস্ত্রোপচার লাগবে কি না সেটি এখনও জানা যায়নি। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ব্যাটারের একটি স্ট্রেট-ড্রাইভে বল গিয়ে লাগে টনির মুখের ডানদিকে। সারারাত হাসপাতালে কাটানোর পর জানা গেছ, তার মুখের কোনো হাড় ভাঙেনি। যদিও এখনই অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তাররা তার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছেন।’
সাধারণত ক্রিকেট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার আরেক প্রখ্যাত আম্পায়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ডকে দেখা যায় বাঁ-হাতে একটি ফাইবারের ঢাল নিয়ে থাকতে। আম্পায়ারদের এমন শিল্ড কেন প্রয়োজন, সেটাই বোঝা গেল টনির ঘটনায়। সামাজিক মাধ্যমে তার ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই। তার দুর্ঘটনা ঘটা শহর পার্থেই আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। যেখানে পাঁচ টেস্টের সিরিজে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মুখোমুখি হবে।
এএইচএস