পাকিস্তান অনড়। নিজ অবস্থানে অনড় ভারতও। ২০২৫ সালে আইসিসির বড় আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আনুষ্ঠানিক সূচি ঘোষণার শেষ সময় ১৯ নভেম্বর। এর মাঝেও অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ট্রফি ট্যুর। পাকিস্তানে আইসিসির আসর ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে আছে ব্যাপক আকারের শঙ্কা। একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট খেলতে যেতে আগ্রহী নয়, যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আকারের দড়ি টানাটানি। 

ভারতের প্রস্তাবনা ছিল, হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হোক এই টুর্নামেন্ট। কিন্তু পাকিস্তান এমন প্রস্তাবেও নারাজ। দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের মাঝেই পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবর, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই আর্থিক প্রলোভনের মাধ্যমে অন্যান্য দেশগুলোকে হাইব্রিড মডেলে যুক্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। একাধিক সূত্রের ভিত্তিতে এই খবর জানানো হয়েছে।  

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিসিসিআই প্রকাশ্যে নিরাপত্তা ইস্যুকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও, তারা গোপনে অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডকে হাইব্রিড মডেল অথবা টুর্নামেন্টটি ভারতে স্থানান্তরের জন্য সমর্থন দিতে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। বিসিসিআই আইসিসি-র আয়ের একটি অংশ এবং অতিরিক্ত আর্থিক প্রণোদনা এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতীয় দলের সাথে অতিরিক্ত ম্যাচের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বোর্ডগুলোকে আকর্ষণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, আইসিসি কর্মকর্তারা বিসিসিআইসহ সকল সদস্য বোর্ডের সাথে এখন পর্যন্ত আলোচনা অব্যহত রেখেছে। আইসিসি জোর দিয়ে জানিয়েছে, চূড়ান্ত সূচি সব অংশগ্রহণকারী দল এবং বোর্ডের সাথে আলোচনা করে নির্ধারিত হবে। আর এটি কোনোভাবেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কারণে প্রভাবিত হবে না। 

সবশেষ খবর অনুযায়ী, পিসিবি কর্মকর্তারা আইসিসি এবং বিসিসিআই-কে জানিয়েছেন যে, যদি ভারত পাকিস্তানে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে ভারতের বদলে একটি শক্তিশালী দল যুক্ত করে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী টুর্নামেন্ট পরিচালিত হবে।

প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী, ৮ দলের টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর কথা ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। ৯ মার্চ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।

জেএ