ছবি: সংগৃহীত

টপ অর্ডারের ব্যাটিং যেন কিছুতেই মনমতো হচ্ছে না বাংলাদেশের জন্য। পাকিস্তান-ভারতে অ্যাওয়ে সিরিজের পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট, রঙ বদলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ… সবখানেই টপ অর্ডারের ব্যর্থতাটাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় চিত্র। উইন্ডিজ সফরে ২ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও ফলাফল সেই একই। 

চারদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ নেমে এসেছে দুইদিনে। তাতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা কিছুটা ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাট চালিয়েছেন। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে পেসার শ্যারন লুইসের বলে জয় ক্যাচ দেন স্লিপে। মাত্র ১৯ বল খেলে ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জয়। 

জাকিরের ইনিংস এরচেয়ে একটু লম্বা। ৩৪ বল আর ১৫ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে জাইর ম্যাকঅ্যালিস্টারের বলে। মুমিনুল হক আর শাহাদাত দীপুর পার্টনারশিপের মাঝে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির পর ভাঙে তাদের জুটি। এবারে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩০ বলে ২৫ রান করা দীপু। মুমিনুল থিতু হয়েও ব্যর্থ। ৫৮ বলে ৩১ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ। স্কোরবোর্ডে ১০১ রান তুলতেই নেই ৪ উইকেট।  

বাংলাদেশ এরপর দেখেছে পরপর তিনটি ভাল ইনিংস। ৫৩ বলে ৩১ রানের সাবলীল ইনিংস খেলেছেন এই সিরিজে ফেরা লিটন দাস। বাকিদের সুযোগ দিতে সরে যান ক্রিজ থেকে। স্বস্তি দিয়েছেন পরের দুজনও। বাংলাদেশের টেস্ট দলের নতুন দুই সংযোজন জাকের আলী অনিক আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন উপহার দিয়েছেন দারুণ ব্যাটিং। 

জাকেরের ১১০ বলে ৪৮ রান আর অঙ্কনের ব্যাটে ৮৭ বলে ৪১ রান। দুজনেই দেখিয়েছেন প্রপার টেস্ট খেলার মানসিকতা। দুজনের ইনিংসেই ছিল ৪ চার এবং ১ ছক্কা। অবশ্য তাদেরও তুলে নেয়া হয় লিটন দাসের মতো করেই। 

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিরাজ। ১১ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। হাসান মাহমুদ আউট হন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর আরও একবার ব্যাট হাতে তাইজুল ইসলামের দৃঢ়তা। তাসকিনের সঙ্গে তার ২৩ রানের পার্টনারশিপ করার পর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ২৫৩ রানে ব্যাটিং প্রস্তুতি থামায় বাংলাদেশ। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেনের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট আর কিমানি মেলিয়াস। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওভার করেন হাসান মাহমুদ। শুরু থেকেই হাসান সুইং পেয়েছেন নতুন বলে। তারই সুবাদে ব্র্যাথওয়েটকে বাধ্য করলেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে। 

দ্বিতীয় ওভারে নাহিদ রানা দেখিয়েছেন গতির ঝলক।  প্রথম দিনের খেলাশেষে ১ উইকেটে ৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট ইলেভেন।  

জেএ