ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতে তারা অজিদের মাটিতে ইতিহাস গড়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয়। টি-টোয়েন্টির শুরুটাও হয় রিজওয়ান-বাবরদের হার দিয়ে। ফলে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ছিল সিরিজ বাঁচানোর শেষ সুযোগ, ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেটিও হারিয়েছে পাকিস্তান। স্পেন্সার জনসনের ৫ শিকারে অস্ট্রেলিয়া ১৩ রানে জিতেছে।

সিডনিতে আগে ব্যাটিং করা অজিদের বোলিং তোপে ফেলেন হারিস রউফ-আব্বাস আফ্রিদিরা। ফলে শুরুতে টর্নেডোর ইঙ্গিত দিলেও স্বাগতিকদের পুঁজি দাঁড়ায় ১৪৮ রানের। অথচ ওপেনিং জুটিতে ম্যাথু শর্ট ও জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক মাত্র ৩.৪ ওভারেই ৫২ রান তুলেছিলেন। পরবর্তী ৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। শর্ট ১৭ বলে ৩২, ম্যাকগার্ক ৯ বলে ২০ রান করেন। তবে রানের খাতা খুলতে পারেননি অজিদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জশ ইংলিস।

মার্কাস স্টয়নিস (১৪), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২১) ও টিম ডেভিডরাও (১৮) দলের হাল ধরতে পারেননি। তাদের তিনজনেই উইকেট দিয়েছেন ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে টিকে থাকার লড়াই করেছেন অ্যারন হার্ডি। ধীরগতির ইনিংস (২৩ বলে ২৮) খেললেও সেটি অজিদের দলীয় পুঁজি চ্যালেঞ্জিং স্তরে নিয়ে যায়। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৪৮ রান। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। এ ছাড়া আব্বাস আফ্রিদি ৩ এবং সুফিয়ান মুকিম ২ উইকেট শিকার করেছেন।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই হোঁচট খেয়ে করে পাকিস্তান। থার্ড অঞ্চল দিয়ে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন বাবর আজম (৩)। দলীয় মাত্র ১২ রানেই তার বিদায়। ৫ রানের ব্যবধানে আউট সাহিবজাদা ফারহানও। বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তানের রানের গতি কমে চাপ আর বাড়তে থাকে। যাতে অবদান ছিল পাক অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের। ২৬ বলে মাত্র ১৬ রান করে তিনি আউট হয়েছেন। তার পরপরই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন সালমান আলি আগাও।

৪৪ রানেই ৪ উইকেট নেই পাকিস্তানের, চার টপ অর্ডারের তিনটি উইকেটই গেছে জনসনের পকেটে। মাঝে উসমান খান ও ইরফান খান মিলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটিতে হয়তো পাকিস্তান সিরিজে সমতা ফেরানোরও স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু উসমান-ইরফানের বিদায়ের পর টেল-এন্ডারে কেউই কিছু করতে পারেননি। উল্টো তিনজনই ফিরেছেন শূন্য রানে। ‍উসমান ব্যক্তিগত ফিফটি (৩৮ বলে ৫২) এবং ইরফানের ৩৭ রানই হয়ে ওঠে কেবল ব্যক্তিগত সান্ত্বনা। পাকিস্তান ২ বল বাকি থাকতেই ১৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। যা এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ নিশ্চিত করেছে।

স্বাগতিকদের পক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী জনসন। বিনিময়ে ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলিং এখন এই বাঁ-হাতি পেসারের। পেছনে পড়ল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জেমস ফকনারের (৫/২৭) রেকর্ড। এ ছাড়া অ্যাডাম জাম্পা ২ এবং জাভিয়ের বার্টলেট নেন এক উইকেট।

এএইচএস