ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পরপরই সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ দল। আগামী ৬ নভেম্বর থেকে দুই দল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে, যেখানে ২-১ সিরিজ হারে টাইগাররা। আফগানিস্তান সিরিজে ওয়ানডে সংস্করণের সাকিব আল হাসান খেলেননি।

এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সাকিব থাকবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে আলোচনা শঙ্কা। এমন আলোচনা-গুঞ্জন কয়েকদিন ধরেই চলছে। সাকিব আল হাসান সবশেষ দেশের মাঠে টেস্ট খেলতে চেয়েও পারেননি। নিরাপত্তা শঙ্কায় অপূর্ণ থেকে যায় ঘরের মাঠে তার শেষ টেস্ট খেলার স্বপ্ন। 

এরপর নিজেকে সরিয়ে নেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে আরও একবার ক্রিকেটাঙ্গনে প্রশ্ন সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের দলে ডাকার ব্যাপারে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী হলেও আজ এ বিষয়ে কথা বলতে হয়েছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকেও। 

শনিবার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অবশ্য নিজেও জানালেন, সাকিব ইস্যুতে বিসিবির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর থাকার কথা।

এ সময় আসিফ বলছিলেন, ‘দেখেন ক্রিকেট বোর্ড একটা অটোনোমাস বডি। আমি আমার পরামর্শ দিয়েছি, সবশেষ খেলা নিয়ে মিরপুরে একটা পরিস্থিতি তৈরী হলো আমি অবশ্যই একটা পরামর্শ দিয়েছি ক্রিকেট বোর্ড সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে আপনারা জানেন। সামনের দিকে ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে। সেক্ষেত্রে আমার যদি কোনো পরামর্শ দেওয়ার থাকে ওই সময়ের প্রেক্ষিতে সেটা আমি দিব।’ 

উল্লেখ্য, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের একটি অংশ এরইমাঝে পৌঁছে গিয়েছে দেশটিতে। সেখানে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে এবং তিন টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। 

এসএইচ/জেএ