ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখে হয়তো অনেকেই চমকে গেছেন। বৃষ্টি কিংবা বৈরী আবহাওয়ার কারণে নয়, সেঞ্চুরিয়ানে ১৮ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল এক ধরণের পিঁপড়ের কারণে! পোকার উৎপাতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বন্ধ থাকার নজির হরহামেশা দেখা যায় না। তবে একেবারেই যে নজির নেই এমনও না। অতীতে বিচিত্র কারণে ক্রিকেট ম্যাচ সাময়িক বা পুরোপুরি বন্ধ রাখার নজিরও রয়েছে।

সেঞ্চুরিয়ানে পোকার উৎপাত এবারই প্রথম নয়, ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ চলাকালীন এই পোকা ঢুকে পড়েছিল। সে সময় ১২ মিনিট বন্ধ ছিল খেলা।

২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি ঢুকে পড়েছিল। ম্যাচের ৪৮তম ওভারে তখন ১৯৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। মৌমাছি মাঠে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটারেরা মাটিতে শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ বাদে সেই মৌমাছির ঝাঁক অবশ্য চলে যায়।

মাঠে সাপ ঢুকে গিয়ে খেলা বন্ধ থাকার নজিরও আছে। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে গত বছর ঘটেছিল তেমনই এক ঘটনা। সাকিব আল হাসানের গল টাইটান্সের সঙ্গে ডাম্বুলা অরার ম্যাচে সাপ ঢুকে পড়ায় খেলা বন্ধ ছিল বেশ কিছুক্ষণ। ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও এমন কিছুর সাক্ষী হয়েছেন দর্শকরা। 

সেই ম্যাচটি হয়েছিল গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে। হঠাৎই মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল একটি সাপ। মাঠের ধারে থাকা একটি ছোট গর্ত থেকে সেটি বেরিয়ে আসে। প্রোটিয়া ক্রিকেটার ওয়েন পার্নেল সবার আগে সেটি দেখতে পেয়ে বাকিদের সতর্ক করে দেন।

এর আগে, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচেও মাঠে সাপ ঢুকে পড়েছিল। সূর্যের আলোর কারণেও ম্যাচ বন্ধ থাকার ঘটনা আছে। নেপিয়ারে ২০১৯ সালে বন্ধ হয়েছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে। 

এফআই