‘হারিয়ে যাবে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ’
বিশ্বক্রিকেটে একসময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় ধারণা ত্রিদেশীয় সিরিজ হারিয়ে গিয়েছে অনেকটা দিন আগেই। দিনে দিনে কমে আসছে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের সংখ্যা। ওয়ানডে ফরম্যাটের নিয়মিত দল বাংলাদেশ চলতি মাসে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে নেমেছিল প্রায় ৮ মাসের বিরতি দিয়ে। পাকিস্তান বিশ্বকাপের পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে সময় নিয়েছে প্রায় ১ বছর।
লাভজনক এবং দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কারণে ওয়ানডে এখন বিলুপ্তপ্রায়। গেল বছর বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ক্রিকেটকেই সীমিত করে দেয়া বলেছিলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার এবং এমসিসি প্রেসিডেন্ট মার্ক নিকোলাস। সঙ্গে আছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যস্ততা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগগুলোর খেলা। এমন অবস্থায় দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের ধারণাও হারিয়ে যাবে বলে মনে করেন সাবেক অজি তারকা মার্ক ওয়াহ।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হারের পর সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা সমালোচনা করেছিলেন শেষ ওয়ানডেতে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের না রাখার কারণে। সিরিজ নির্ধারণী সেই ম্যাচে ছিলেন না অধিনায়ক প্যাট কামিন্সসহ ৫ ক্রিকেটার। এমন সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিলেন মাইকেল ক্লার্ক।
তবে ওপেনার মার্ক টেইলর এই সিদ্ধান্তের প্রভাব দেখছেন আরও বড় আকারে। তিনি মনে করেন এমন আচরণ ধীরে ধীরে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের প্রচলনই মুছে দেবে ক্রিকেট বিশ্ব থেকে, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির কারণে আমার মনে হয় ৫০ ওভারের ক্রিকেটের সূচির ওপর চাপ বাড়ছে। আমার মনে এসব সিরিজ ধীরে ধীরে মুছে। এটাই হয়ত হারিয়ে যাওয়ার পথ।’
মার্ক টেইলর ওয়ানডে ক্রিকেটের সম্ভাবনা দেখছেন সীমিত আকারে, ‘যখন বিশ্বকাপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো আসর আসবে, তখন ওয়ানডে সিরিজ হতে পারে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে। তার আগে, যেমনটা আমরা এই সিরিজে দেখলাম– পাকিস্তানের জন্য ফলাফল দারুণ হতে পারে তবে এটা ক্রিকেটের জন্য বিশেষ হয়ে থাকবে না শেষ পর্যন্ত।’
আরও পড়ুন
অবশ্য মার্ক টেইলরের এমন মতের অনুসারী আরও অনেকেই। ওয়ানডে ক্রিকেট হারিয়ে যাওয়ার পেছনে মূলত ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটকেই বড় করে দেখা হচ্ছে। ব্যাপক লাভজনক এবং কম সময়ের হওয়াতে বিশ্বের প্রায় সব ক্রিকেট বোর্ডই নিজস্ব একেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে ব্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এমনকি নেপালেও আছে টি-টোয়েন্টির বিশেষায়িত লিগ। সেখানে অংশ নিতে গিয়ে চাপ পড়ছে আন্তর্জাতিক সূচির দিকে।
জেএ