আরও একবার ম্যাচ শেষে কাঠগড়ায় বাংলাদেশের ডট বল প্রবণতা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজ খেলেছেন ১৪৫ রানের জুটি। শারজাহতে যা বাংলাদেশের জন্য যেকোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। লম্বা এই জুটির পথে ১০৬ বলে নিজের ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পেয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। 

বাংলাদেশের ইতিহাসে ধীরগতির ফিফটি বিবেচনায় মিরাজের গতকালের ইনিংস থাকবে দ্বিতীয় স্থানে। ম্যাচ হারের পর আক্ষেপ থেকে গেল তার অতিরিক্ত ডটবল নিয়ে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৫৬ এর নিচে। অবশ্য পুরো ক্যারিয়ারেই ডট বল নিয়ে কাঠগড়ায় তোলা যেতে পারে মিরাজকে। 

২০১৭ সালে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই ৫০ শতাংশের বেশি ডট বল খেলেছেন মিরাজ। ২০২৩ সালেই ২৪ ওয়ানডে ম্যাচে ৬৮৩ বল মোকাবিলা করে ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ ডট বল হজম করেছেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক। চলতি বছর যা বেড়ে ৫৭ শতাংশ পেরিয়েছে এরইমাঝে। পুরো ক্যারিয়ারে মিরাজের ডট বল ৫৫ শতাংশ। 

তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিম জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন ১৮  ম্যাচ। ব্যাট করেছেন ১৭ ইনিংসে। তাতে রান করেছেন ৩০৭। যেখানে হাঁকিয়েছেন ৪৪ চার এবং ৮টি ছক্কা। ক্যারিয়ারের মোট ২২৪ রানই তানজিদ তামিম তুলেছেন বাউন্ডারি থেকে। বাকি ৮৩ রান এসেছে স্ট্রাইক রোটেশন থেকে। প্রায় ৭৩ শতাংশ রানই তিনি নিয়েছেন বাউন্ডারি থেকে। 

জুনিয়র তামিমকে অবশ্য আগ্রাসী ব্যাটার সুযোগ থাকছে না ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে। জাতীয় দলের বাকিদের মতো তারও আছে ডট বলের বিশেষ ঝুলি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও ছিল একের পর এক ডট বল। চলতি বছর ৫৯ শতাংশ ডট বল খেলেছেন এই ওপেনার। দুই বছরের ক্যারিয়ারে হজম করেছেন ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ ডটবল। 

গতকালের ম্যাচে ৯৮ রান করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ারেও ডট বলের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। ক্যারিয়ারের গোধূলীবেলায় থাকা এই ক্রিকেটারের ওয়ানডে ম্যাচে ডট বল ৫৩ শতাংশের বেশি। ১৭ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১১ বছরই ৫০ শতাংশের বেশি ডট বল হজম করেছেন। একই অবস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯ বছর পার করা লিটন দাসের। আফগানিস্তান সিরিজ মিস করা এই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে ডট বল ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

রিয়াদের সমসাময়িকদের মাঝে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন সাকিব আল হাসান। লম্বা ক্যারিয়ারে সাকিব ওয়ানডে ফরম্যাটে হজম করেছেন ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ ডটবল। মুশফিকুর রহিমের ডট বলের শতাংশটাও ৫০ এর নিচেই থাকছে। তবে তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারে ডটবল ৫৭ শতাংশের বেশি।  

জাতীয় দলে বর্তমানে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে ডট বল প্রবণতা কম তাওহীদ হৃদয়ের। অবশ্য সেটাও একেবারেই কম না। ২৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ১ হাজার ৫০ রান করা হৃদয় ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ডট বল খেলেছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের মধ্যে প্রায় সকলেই ডট বল খেলেছেন ৪০ শতাংশের বেশি। 

জেএ