আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভয়টাই সত্যি হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বোলারদের মলিন পারফরম্যান্সে সিরিজ হারাতে হয়েছে টাইগারদের। যদিও এর আগে আরেকবার নতুন বলে ব্যাটিং ধস দেখেছে বাংলাদেশ। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে বেশ বাজে অবস্থায় ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে অবশ্য টাইগাররা পথ খুঁজে পায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মেহেদি হাসান মিরাজের রেকর্ড জুটির সুবাদে। 

১৪৫ রানের সেই জুটি ছিল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। তবে এই জুটিতে খরচ হয়েছে ১৮৮ বল। মেহেদি হাসান মিরাজ ফিফটি করতে খরচ করেছেন ১০৬ বল। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটে দ্বিতীয় ধীরগতির ফিফটি। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ ফিল সিমন্স অবশ্য কথা বলেছেন সেই জুটির পক্ষেই, ‘আসলে তাদের (রিয়াদ-মিরাজের) জুটিটা ভালো হয়েছে। শুরুর দিকটায় ভালোই করছিল। ক্রিজে সেট হয়ে গেল। জুটি গড়তে গেলে অনেক সময় এরকমটা হয়ে থাকে। সে যখন স্লো খেলছিল মাহমুদউল্লাহ তখন চালিয়ে খেলেছে। ফলে তাদের জুটিটা ভালো হয়েছিল।’

রিয়াদের ৯৮ বলে ৯৮ রানের ইনিংসেরও প্রশংসা করতে ভুললেন না সিমন্স, ‘দুর্দান্ত ইনিংস। প্রথম দুই ইনিংসে সে রান পায়নি। তবে আজকে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে খেলে গেছে। সে যখন সেট হয়ে গেল এরপর বেশ সহজেই রান তুলেছে। ফলে আমার কাছে মনে হয় দারুণ ইনিংস ছিল।’

বোলারদের চেষ্টার পরেও ম্যাচটা জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। সিমন্সের ভাষ্যে, ‘আসলে যখন (আজমতউল্লাহ) ওমরজাই আসল, তারা জুটি গড়তে শুরু করল। ভালো দুইজন ব্যাটার, ফলে তখন যদি উইকেট নিতে না পারেন তাহলে তো জুটি বড় হবেই। যা পরে ম্যাচটা আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।’ 

অবশ্য এই ম্যাচের উইকেটের প্রশংসা করতেও কার্পণ্য করেননি বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই কোচ, ‘আমি অবশ্যই বলব, শারজাহতে আমার অনেক দিনের মধ্যে দেখা সেরা উইকেট ছিল এটি। প্রথম দুই ম্যাচে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। তবে আজকে ভালো ছিল। ফলে তারা উইকেটের ফায়দাটা কাজে লাগিয়ে নিজেদের ব্যাটিং চালিয়ে গিয়েছে। 

এসএইচ/জেএ