ওয়ানডে বিশ্বকাপে নাসুম আহমেদকে চড় মেরেছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে– এমন অভিযোগের পর থেকেই বেশ একটা কঠিন সময়ই পার করতে হয়েছে নাসুমকে। মাঠের খেলায় জাতীয় দলের হয়ে মিস করেছেন অনেকটা সময়। ৮ মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ ফিরেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। নাসুমের ফেরাটা এই মঞ্চে আরও লম্বা সময়ের পর।  

সেই নাসুমই গতকাল যেন পথ দেখালেন বাংলাদেশকে। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জাকের আলী অনিকের সঙ্গে তার পার্টনারশিপ ছিল বাংলাদেশের জন্য লাইফলাইন। এক চার এবং দুই ছক্কায় নাসুম আহমেদ করেন ২৪ বলে ২৫ রান। ৭ম উইকেট জুটিতে ৪১ বলে ৪৬ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেটাই শেষ পর্যন্ত হয়ে থাকল বাংলাদেশ ইনিংসের টার্নিং পয়েন্ট।

বল হাতেও কম যাননি নাসুম। ইমার্জিং এশিয়া কাপে আলোড়ন তোলা সেদিকুল্লাহ আতাল, আজমতউল্লাহ ওমরজাই আর আল্লাহ গাজানফারের উইকেট তুলে নিয়েছেন এই স্পিনার। সংবাদ সম্মেলনে এসেও অধিনায়ক শান্তর কাছ থেকে পেয়েছেন প্রশংসা। 

সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমার মনে হয় সবসময় খেলায় মনোযোগ ধরে রাখা উচিত এবং সে অইটাই করেছে। নাসুম এর আগেও ড্রেসিংরুমেও ছিল, ফলে মিরাজদের সাথে এডজাস্টমেন্টের কোনো সমস্যা হয়নি। ব্যাটিং-বোলিং যেভাবে করেছে সেটা দলকে সাহায্য করেছে এবং খুব সাহসের সাথে করেছে। ফলে তার অ্যাপ্রোচ আমার খুবই ভালো লেগেছে। আশা করব যে পরের ম্যাচেও এভাবেই করবে ইনশাল্লাহ।’

নাসুম এবং জাকের আলীর গড়া জুটি নিয়ে শান্ত বলেন, ‘(ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট) জাকের-নাসুমের ব্যাটিং। যেভাবে শেষ করল ইনিংস। বোলিং মনে হয় ওভারল ভালো করেছে বোলিং ইউনিট। ফিল্ডাররা আমার মনে হয় আগের ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচে ভালো ছিল।'

জয়ের কৃতিত্ব বাকিদেরও দিলেন শান্ত, ‘(মেহেদী হাসান) মিরাজ এবং নাসুম যেভাবে বল করেছে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। বল হাতে আমরা যেভাবে শুরু করেছি, তাসকিন (রহমানউল্লাহ) গুরবাজকে ফিরিয়ে দিল। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যাটার। আমি ফিল্ডিংয়ের মাঝে অনেক এনার্জি দেখতে চাই এবং তারা আজ সেটা করে দেখিয়েছে। ফিনিশিংটা যেভাবে হয়েছে তাতে আমরা ভালো মোমেন্টাম পেয়ে যাই। আমি জাকের কাছ থেকে এবং লোয়ার মিডল অর্ডারের কাছ থেকে এটাই চাই।’

এসএইচ/জেএ