বাংলাদেশ ক্রিকেট বহুল কথিত পঞ্চপান্ডবের অধ্যায় পেরিয়েছে আরও আগেই। মাশরাফি বিন মুর্তজার পর সেই দলে নাম লেখাতে চলেছেন সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুই ফরম্যাট ও মুশফিক টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন। তামিম ইকবাল থেকেও নেই। তবে ২০০৬ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশ সাকিব-তামিম-মুশফিককে ছাড়া কোনো ওয়ানডে খেলতে নেমেছে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে আজ (শনিবার) সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে নেমেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল আগে ব্যাট করছে। কেবল এই ম্যাচই নয়, আঙুল ভেঙে যাওয়া মুশফিক ছিটকে গেছেন পুরো আফগান সিরিজ থেকেই। ফলে এই তার না থাকার কথা আগেই জানা ছিল। তার পরিবর্তে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে জাকের আলি অনিকের।

অন্যদিকে, সাকিব আল হাসানও নেই চলমান সিরিজে। রাজনৈতিক কারণে তিনি বাংলাদেশে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েও আসতে পারেননি। পরে জাতীয় দলীয় ক্যাম্প ও অনুশীলনের বাইরে থাকা এই অলরাউন্ডার আফগান সিরিজ থেকেও নাম সরিয়ে নেন। তিনি ঠিক কবে নাগাদ ফের জাতীয় দলে ফিরবেন সেটিও নিশ্চিত নয়। এ ছাড়া তামিম ইকবাল নাটকীয়ভাবে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দিয়েও অজানা কারণে ফিরছেন না দলে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞ এই তিন তারকার অভিষেকের পর এবারই প্রথম তারা কোনো ওয়ানডে ম্যাচে নেই। ২০০৬ সালের ৪ আগস্ট, সাকিব ও মুশফিকের ওয়ানডে অভিষেকের ঠিক আগের ম্যাচে বাংলাদেশ সর্বশেষ এমন কীর্তি দেখেছিল। অদূর ভবিষ্যতে তাদেরকে ছাড়াই যে বাংলাদেশ ক্রিকেট হাঁটতে চলেছে এ যেন তারই ইঙ্গিত!

২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে সাকিব ও মুশফিকের ওয়ানডে অভিষেক হয় একসঙ্গে। তামিম ইকবালের ওয়ানডে অভিষেকও হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই। ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হারারেতে তার ওয়ানডে অভিষেক হয়। এরপর থেকে শারজাহতে চলমান এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ পর্যন্ত খেলা বাংলাদেশের ৩১০টি ওয়ানডেতে তিনজনের কেউ না কেউ খেলেছেন। এর মধ্যে তামিম, সাকিব ও মুশফিক একসঙ্গে খেলেছেন ১৮০টিতে।

ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের সবেচেয়ে বেশি (২৭২) ওয়ানডে ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। এই তালিকায় এরপরই অবস্থান সাকিব (২৪৭), তামিম (২৪৩), মাহমুদউল্লাহ (২৩৪) ও মাশরাফি (২১৮)। সবমিলিয়ে তিন ফরম্যাটেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারও মুশফিক (৪৬৮)।

এএইচএস