বিপিএলের স্পন্সর থেকে কত টাকা পাচ্ছে বিসিবি
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল ইস্পাহানি। আসন্ন আসরের জন্য টাইটেল স্পন্সর হয়েছে বেসরকারি ডাচ বাংলা ব্যাংক। সেই সঙ্গে পাওয়ার্ড বাই ও কো-স্পন্সর হিসেবে থাকছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকেরই দুটি গ্রাহক প্রিয় সেবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস রকেট ও ই-ওয়ালেট নেক্সাসপে অ্যাপ।
আজ বুধবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে আনুষ্ঠানিক লোগো উন্মোচন হয়েছে। বিপিএল-এর এই ১১তম আসরের নাম ‘ডাচ-বাংলা ব্যাংক বিপিএল টি-টোয়েন্টি, পাওয়ার্ড বাই রকেট, কো-স্পন্সর নেক্সাসপে’।
বিজ্ঞাপন
বিপিএলের স্পন্সর থেকে কত টাকা পাচ্ছে বিসিবি এ নিয়ে বরাবরই আগ্রহ থাকে। জানা যাচ্ছে, সবশেষ আসরের মতো এবারো সাড়ে পাঁচ কোটিতে বিক্রি হয়েছে বিপিএলের স্পন্সরশিপ। সে হিসেবে দাম বাড়েনি জনপ্রিয় এই ক্রিকেট লিগের।
অবশ্য স্পন্সর থেকে আয়ের তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতিই নেই দেশের ক্রিকেটে। আজও সংবাদ সম্মেলনে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আবুল কাশেম মোঃ শিরিন বলছিলেন, ‘এটা বিজনেস সিক্রেট। তবে যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।’ অথচ বিশ্বের সবচেয়ে জমকালো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব থেকে পাওয়া টাকার অংক নিয়মিতই প্রকাশ করা হয়।
এদিন প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদিন ফাহিম। এ ছাড়া টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোঃ শিরিন ও বিপিএল-এর টাইটেল ও গ্রাউন্ড ব্র্যান্ডিং রাইটস্ হোল্ডার ইমপ্রেস-মাত্রার পক্ষ থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা বিপিএলের ১১তম আসর। তবে এখন থেকেই বিপিএল আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে বোর্ড। দেশের জনপ্রিয় এই ক্রিকেট লিগের আসন্ন আসরে দর্শকদের জন্যও থাকছে নানা উদ্যোগ। সাধারণত মাঠে বসে খেলা দেখতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সমর্থকদের। বিশেষ করে অতিরিক্ত দামে খাবার কিনে খাওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
আজ বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ঘোষণা অনুষ্ঠানে দর্শকদের নিয়ে আলাদা ভাবনার কথা জানালেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি বলেন, 'আমি চাইবো একজন দর্শক মাঠে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত কোনো হেনস্থার শিকার না হয়। খাবারের দাম যেমন হওয়া উচিত তেমন যেন হয়। ওয়াশরুম ব্যবহার থেকে শুরু করে পানি পান..এমনও হতে পারে পানির জন্য কোনো টাকাও দিতে হবে না।' অর্থাৎ একজন দর্শক পরিবার পরিজন নিয়ে মাঠে এসে যেন নিজের মনে করতে পারেন পুরো আয়োজনকে। যেন তারা পরের দিন আবার মাঠে আসার আগ্রহ পায়।
বিসিবির এই পরিচালক আরও বলেন, 'টিভিতেও যারা খেলা দেখবে তারা যেন ভালো কিছু দেখতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি বলছি না এক আসরেই টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ডক্লাস হয়ে যাবে। কিন্তু আগের আসরের চেয়ে ভালো হবে। সামনের বছরগুলোতে আরও ভালো হবে বিপিএলের মান। এবারের বিপিএলে ই-টিকিটের প্রাধান্য থাকবে বেশি, ৮০-৮৫ শতাংশ।'
এ ছাড়া জমকালো উপস্থাপনে ব্র্যান্ডিংয়ে পেরিমিটার ও সাইড স্ক্রিণে স্ট্যাটিক বোর্ডের বদলে এলইডি বোর্ড স্থাপন করা হবে। যা বিশ্বের সেরা সেরা টুর্নামেন্টগুলোতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জমকালো টুর্নামেন্ট বিপিএল-এর এবার ১১তম আসর। চলবে ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে, খেলবে ৭টি দল। খেলাগুলো সরাসরি দেখা যাবে টি স্পোর্টস, গাজী টিভি, টি স্পোর্টস অ্যাপ ও র্যাবিটহোলবিডি অ্যাপে।
এফআই