‘১৬ ভাইবোনের মধ্যে ১১তম’ কামরান গুলামের পরিবার টেনে কটাক্ষ!
কদিন আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকটা রাঙিয়েছিলেন কামরান গুলাম। বাবর আজমের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েই সেঞ্চুরি ছাড়ানো ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও তার ওপর আস্থা রেখেছে পাকিস্তানের নির্বাচকরা।
একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকের প্রায় ২২ মাস পর গতকাল (সোমবার) মেলবোর্নে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন। অবশ্য দীর্ঘ বিরতির পর ফরম্যাটটিতে ফেরাটা সুখকর হয়নি।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের হারের দিনে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন এই ব্যাটার। ৬ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে যান। ম্যাচ শেষে অন্য এক কারণে চর্চায় কামরান গুলাম। পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারের পরিবার নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করার অভিযোগ উঠেছে ধারাভাষ্যে থাকা ওয়াসিম আকরাম, মাইকেল ভন ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টদের বিরুদ্ধে।
শুরুটা করেছিলেন ধারাভাষ্যে থাকা ওয়াসিম আকরাম। আচমকা নিজ দেশের ক্রিকেটারকে নিয়ে বলে ওঠেন, ‘কামরান বড় পরিবার থেকে উঠে এসেছে। ১২ ভাইয়ের মধ্যে ও ১১তম। এ ছাড়া ৪ বোনও আছে।’
সেই কথা শুনে মাইকেল ভন বলে ওঠেন, ‘১৬জন ভাই-বোন! তাদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য কত, সেটা জানতে খুব ইচ্ছা করে।’ তাদের সঙ্গে যোগ দেন অ্যাডাম গিলক্রিস্টও। তিনি টিপ্পনী কাটেন, ‘এটা তো পাকিস্তান নির্বাচন কমিটি।’ ক্রিকেটের কিংবদন্তি তারকারা কামরানকে নিয়ে হালকাচ্ছ্বলে যাই বলে থাকুন না কেন, তা ভালো চোখে নিচ্ছেন না ক্রিকেটভক্তরা। ক্রিকেটের আলোচনার বাইরে পাকিস্তানের ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবারকে কেন টেনে আনা হল, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
এই ম্যাচে আরও একবার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় কামরানকে। প্যাট কামিন্সের বাউন্স সামলাতে না পেরে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তার পরই ধারাভাষ্যকার কেরি ও কিফে বলেন, ‘এটা মুলতানের পিচ নয় ভাই, এটা এমএসজি’। এই মন্তব্যকেও ভালো চোখে নেননি পাক সমর্থকরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি বৃহৎ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কামরান গুলাম। তার ভাইদের অনেকেই একসময় স্থানীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অবশ্য উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, ৬ বোনের পাশাপাশি ১১ ভাই তাদের পরিবারে। সে হিসেবে মোট ভাইবোন হওয়ার কথা ১৭ জন।
এফআই