প্রথম দল হিসেবে ঘরের মাঠেই ভারতকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ এসেছে নিউজিল্যান্ডের সামনে। আবহাওয়ার জটিলতা না থাকলে মুম্বাই টেস্ট শেষ হচ্ছে তৃতীয় দিনেই। আজ দ্বিতীয় দিনটা নিউজিল্যান্ড শেষ করেছে ৯ উইকেটে ১৭১ রান নিয়ে, এগিয়ে গেছে ১৪৩ রানে। এজাজ প্যাটেল ও উইলিয়াম ও’রুর্ক আর কত রান এনে দিতে পারেন নিউজিল্যান্ডকে, সেটিই দেখার বিষয়।

লক্ষ্যটা খুব বেশি না হলেও অতীত রেকর্ডটা ভারতকে কোনোভাবেই স্বস্তি দেবে না। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টেস্টে এর আগে পাঁচবার রান তাড়া করতে নেমে ভারত জিততে পেরেছে মাত্র একবার। আর হেরেছে তিনবার। ড্র করেছে একবার। ১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা এসেছিল আবার মাত্র ৪৮ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে। অন্য চারটি ম্যাচেই অবশ্য লক্ষ্যটা ২৪০ রানের বেশি ছিল।

সবমিলিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই রানতাড়া করে জয়ের নজির আছে মোটে ৫ বার। তার মাঝে কেবল একবারই ১০০ এর বেশি টার্গেটে ব্যাট করে কোনো দল জয় পেয়েছে। যার অর্থ, জিততে হলে ভারতকে কিছুটা ইতিহাস গড়েই জয় তুলে আনতে হবে। 

২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতের দেয়া ১৬৪ রানের টার্গেট পেরিয়ে গিয়েছিল ৪ উইকেট হাতে রেখে। সেটাই এই মাঠে একমাত্র ১০০ এর বেশি টার্গেট পার করে জয়ের ঘটনা। পরের দুই জয়ের রেকর্ড ইংল্যান্ডের। ভারতের বিপক্ষে ১৯৮০ সালে ৯৮ এবং ২০১২ সালে ৫৮ রানের টার্গেট টপকেছিল ইংলিশরা। তালিকায় ভারত ব্যতীত অন্য দলটা অস্ট্রেলিয়া। 

ভারত এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে রানতাড়া করে জয় পেয়েছিল একবার। সেটাও ১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আগামীকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় সহজেই পেয়ে যেতেই পারে টিম ইন্ডিয়া। তবে তার আগে ইতিহাসের চোখ রাঙানিটাও সইতে হবে তাদের। 

এরমাঝে চলতি সিরিজও যে খুব ভাল যাচ্ছে ভারতের, তাও বলা চলে না।  পরিসংখ্যান বলছে, তিন বা তার চেয়ে কম ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এই প্রথম ভারতের ব্যাটসম্যানরা ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তিন বা তার চেয়ে কম ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এর আগে ভারতের সর্বোচ্চ ১২ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ১৯৭৪ সালে সেটি ছিল ইংল্যান্ডের মাঠে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এরপর মাঝে ১৯৯৯–২০০০ বোর্ডার–গাভাস্কার সিরিজ এবং ২০২১–২২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে ভারতের ১০ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন।  

তবে এর সবই ছিল ঘরের বাইরের সিরিজ। ঘরের মাঠে এত ডাক মারার ঘটনা এবারই প্রথম। পুরো দলে শুভমান গিল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ছাড়া যারাই মাঠে নেমেছেন, অন্তত ১টি করে ডাক মেরেছেন। মুম্বাইয়ে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে তাই নতুন কোনো নাটকীয়তা থাকছে না, সেও বলা চলে না। 

জেএ