ইতিহাস গড়ে স্বাগতিক ভারতকে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এমনকি এক যুগ পর কোনো দল ভারতকে তাদেরই মাটিতে সাদা পোশাকের সিরিজে হারাল। অথচ নিজেদের পছন্দের স্পিনবান্ধব উইকেট বানিয়েই বেঙ্গালুরু ও কানপুরে খেলতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু সেই ফাঁদে তারা নিজেরাই আটকে যায়। এবার তাদের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো, সে কারণেই নাকি পিচে বদল আনা হচ্ছে! এবার সামনে আসল চমকপ্রদ আরও এক তথ্য। 

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে তৃতীয় টেস্টে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারত। পুণেতে ঘূর্ণি উইকেটে জব্দ হলেও ওয়াংখেড়েতেও একই রকম পিচ চাইছে স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে ৩৫ জন নেট বোলারকে অনুশীলনে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও খবর দেশটির গণমাধ্যমের। যাদের বেশির ভাগই স্পিনার।

জানা গিয়েছে, ভারতীয় দলের তরফে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার (এমসিএ) কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেট বোলারের আবেদন করা হয়েছিল। তবে ৩৫ জন নেট বোলার ভারত কেন, বিশ্বের যে কোনো দেশেই বিরল। দল আগেই জানিয়েছিল যে মুম্বাইয়ে টেস্টের আগে কোনো ঐচ্ছিক অনুশীলন হবে না। প্রতিটি অনুশীলন বাধ্যতামূলক। সেই মতো দু’দিন বিরতির পর এদিন অনুশীলনে নেমেছেন রোহিতরা।

পুণে টেস্টে মিচেল স্যান্টনারের বলে ভুগেছে ভারত। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভারতের ১৯টি উইকেট গিয়েছে। নিজেদের অস্ত্রে নিজেরাই ঘায়েল হলেও ওয়াংখেড়েতে একই ‘ফরমুলা’য় কিউয়িদের ঘায়েল করতে চায় ভারত।

এই মাঠে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভারতের রেকর্ডও ভালো। ওয়াংখেড়েতে পাঁচটি টেস্ট খেলে ৩৮টি উইকেট পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সব বোলার মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি। রবীন্দ্র জাদেজাও একটি ম্যাচ খেলে ৬টি উইকেট পেয়েছেন।

পুণেতে যে ঘূর্ণি পিচ চাওয়া হয়েছে সেখানে প্রথম দিন থেকেই বল ঘুরতে শুরু করবে। পরীক্ষিত রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছে ভারত। পুণের পিচও ঘূর্ণি ছিল। তবে সেই পিচে বাউন্স এবং মন্থরতাও ছিল। ওয়াংখেড়েতে লাল মাটির পিচ। সেখানে স্পিনের পাশাপাশি যথেষ্ট বাউন্সও থাকবে। ফলে দু’দলের ব্যাটারদেরই খেলা কঠিন হবে। ম্যাচ হয়তো পাঁচ দিন গড়াবেও না।

এফআই