চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৯ ওভার। রান হয়েছে ১০৬। বাংলাদেশ উইকেট নিয়েছে ৩টি। দক্ষিণ আফ্রিকা ওভারপ্রতি রান তুলেছে ৩.৬৬ করে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন বাংলাদেশের পক্ষে মনে হলেও আপাতত এই টেস্টে অনেকটাই পিছিয়ে আছে টাইগাররা। ৫ উইকেট হারালেও দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোরবোর্ডে জমা করে ফেলেছে ৪১৩ রান। 

আগের দিনের মতো এদিনও বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটশিকারী তাইজুল ইসলাম। পূরণ করেছেন ফাইফার। মিরপুর টেস্টের পর চট্টগ্রামেও পেলেন ৫ উইকেট। 

২ উইকেটে ৩০৭ রানে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। সঙ্গে আরও একবার বাংলাদেশের জন্য লম্বা দিনের বার্তা। ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শুরু করেছেন টনি ডি জর্জি। সেটাকে দেড়শতে নিয়ে যেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি প্রোটিয়া ওপেনারের। দিনের ৮ ওভার শেষ হতেই পেয়ে যান দেড়শ রানের দেখা। তাইজুল ইসলামকে চার মেরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ড্যাডি সেঞ্চুরি। 

দ্বিতীয় ওভারে হাসানের বলে বেডিংহামকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন তিনি। এরপর স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনও ছিল তার বিপক্ষে। সেখানেও বেঁচে গিয়েছেন তিনি। দিনের প্রথম নয় ওভার শেষে উঠেছে ৩৫ রান। ডি জর্জির দেড়শ রানের পর ফিফটি তুলে নেন বেডিংহাম। অবশ্য চারশর ঠিক আগেই তাইজুলের স্পিন বাংলাদেশ শিবিরে এনে দেয় আনন্দের উপলক্ষ্য। 

৩৮৬ রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকা উইকেট হারিয়েছিল ২ টি। সেখান থেকে স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান তুলতে প্রোটিয়ারা ৩ উইকেট হারিয়েছে। ৩টি উইকেটই নিয়েছেন তাইজুল। তাইজুলের ওভারে পরপর বিগ শট খেলতে গিয়ে আউট হন বেডিংহাম। বাংলাদেশি স্পিনারের জোরের ওপর করা বল মিস করেছেন বেডিংহাম, হয়েছেন বোল্ড।

এক ওভার পরেই ১৭৭ রান করা টনি ডি জর্জিকে ফেরান এই স্পিনার।  সুইপ করতে গিয়ে আউট হন ডি জর্জি। তাইজুলের করা মিডল–লেগ স্টাম্প বরাবর করা বলটি প্যাডে লাগে এই ওপেনারের। আম্পায়ারও আবেদনে সাড়া দেন। ডি জর্জি রিভিউ নিয়েছিলেন। কাজে লাগেনি। এরপরেই গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কাইল ভেরেইনাকে একইভাবে ফেরান তাইজুল। 

রায়ান রিকেলটন এবং উইয়ান মুল্ডার এরপর দেখেশুনেই খেলে পার করেছেন দলীয় ৪০০ রান। খুব একটা বিপদ বাড়তে দেননি। তাইজুল পেলেন ক্যারিয়ারের ১৪তম ফাইফার। চট্টগ্রামের মাঠে পূরণ করেন নিজের ৫০ উইকেট

জেএ