সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। আগের দুই ম্যাচে দুই দল একটি জয় পেয়েছিল। তৃতীয় টেস্টের প্রথমদিন অবশ্য সুনির্দিষ্টভাবে কারও পক্ষে যায়নি। সফরকারী বেন স্টোকসের দল আগে ব্যাটিং করে ২৬৭ রানে গুটিয়ে গেছে। বিপরীতে দিন শেষ হওয়ার আগে ৭৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছে শান মাসুদের পাকিস্তান।

রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (বৃহস্পতিবার) নির্দিষ্ট করে কোনো দলকে এগিয়ে রাখতে না পারলেও, স্পিনারদের দাপটের কথা স্বীকার করাই যায়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন পাকিস্তান কোনো পেসারকেই ব্যবহার করেনি। একাদশে আমির জামাল থাকলেও পুরো ৬৮.২ ওভারই করেছেন স্পিনাররা। এর মধ্যে সাজিদ খান ৬, নোমান আলি ৩ ও জাহিদ মাহমুদ একটি উইকেট শিকার করেছেন। 

ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংলিশদের পক্ষে তিন উইকেটের দুটিই নিয়েছেন দুই স্পিনার জ্যাক লিচ ও শোয়েব বশির। আরেকটি উইকেট গেছে গাস অ্যাটকিনসনের দখলে। যা সারাদিনে পতন হওয়া ১৩ উইকেটের মধ্যে একমাত্র। দিন শেষে তিন উইকেট হারানো পাকিস্তানের চেয়ে ইংলিশরা ১৯৪ রানে এগিয়ে আছে।

আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড উদ্বোধনী জুটিতে তোলে ৫৬ রান। ওপেনার জ্যাক ক্রাউলিকে ২৯ রানে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন নোমান। অল্প সময়ের ব্যবধানে তার বলেই আউট ওয়ানডাউনে নামা ওলি পোপও (৩)। এরপর দলীয় ১০০ রানের আগেই ইংলিশরা ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। এর মধ্যে অবশ্য ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন ওপেনার বেন ডাকেট (৫২)। তবে জো রুট (৫), হ্যারি ব্রুক (৫) ও বেন স্টোকসের (১২) ব্যর্থতায় সফরকারীরা চাপে পড়ে যায়।

১১৮ রানে ৬ উইকেট হারানো ইংলিশদের ইনিংস অল্পতেই গুটিয়ে যাবে– এমন শঙ্কা জেগেছিল। তবে অষ্টম উইকেটে জেমি স্মিথ ও অ্যাটকিনসন মিলে গড়েন ১০৫ রানের জুটি। সেটিই মূলত তাদের সম্মানজনক স্কোর এনে দেয়। ১১৯ বলে ৫টি চার ও ৬ ছক্কায় ৮৯ রান করেছেন স্মিথ। অ্যাটকিনসন ৭১ বলে ৩৯ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৬৮.২ ওভারে ২৬৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।

বিপরীতে পাকিস্তান দেখেশুনে শুরু করেও ওপেনিং জুটি ভেঙে যায় ৩৫ রানে। শোয়েব বশিরের বলে এলবিডব্লু হন আব্দুল্লাহ শফিক (১৪)। সাইম আইয়ুবও আউট হয়ে যান অদ্ভুত শট খেলে। লিচের বল ডাউন দ্য উইকেটে এগিয়ে খেলতে গিয়ে ১৯ রানে তিনি শর্ট ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দেন। এর পরের ওভারেই বিদায় আগের ম্যাচে অভিষিক্ত হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকানো কামরান গুলাম (৩)। অ্যাটকিনসনের বলে তিনি বোল্ড হয়েছেন। দিনের বাকিটা সময় শান মাসুদ ও সৌদ শাকিল মিলে পার করেছেন, ‍দুজনেই অপরাজিত আছেন সমান ১৬ রানে।

এদিন প্রথম ইনিংসে ইতিহাস গড়েন দুই পাকিস্তানি স্পিনার সাজিদ ও নোমান। শুরু থেকে দুজনে মিলে করেছেন টানা ৪২ ওভার। দুই স্পিনার ম্যাচের শুরুর দুই ওভার করেছেন, এমন ঘটনা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ। আর পাকিস্তানের মাটিতে এমন ঘটনা প্রথম। 

এএইচএস