শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নাটকীয় এক ম্যাচে হেরে ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ৬২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৯ রানে হেরে টাইগাররা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে ম্যাচ হারের চেয়ে বড় ঘটনা হয়ে থাকলো ম্যাচের পাকিস্তানি আম্পয়ার নাসির হোসেনের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্ত। যেখানে অন্তত ন্যায্য ৭ রান থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। 

ম্যাচে বাংলাদেশ মোমেন্টামও হারিয়েছে সেখানেই। ম্যাচের দৃশ্যপটে তখন বাংলাদেশের দরকার ১৮ বলে ৩৭ রান। বড় এই টার্গেটের জবাবে ১২ বলে ২৬ রান করে তখন বাংলাদেশকে জয়ের আশা দেখাচ্ছেন আবু হায়দার রনি। ১৮তম ওভার করতে এলেন লঙ্কান পেসার ইশান মালিঙ্গা। তিনি বল ছুঁড়ে দেওয়ার মুহূর্তে পাকিস্তানি আম্পায়ার নাসির হোসেন ডেকে বসলেন ডেড বল। 

কিন্তু ততক্ষণে বাংলাদেশি ব্যাটার রনি লং অফ দিয়ে হাঁকিয়েছেন ছক্কা। এরপরেই ডেড বলের সিদ্ধান্তে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের ডাগআউট। ব্যাটার রনির চোখে মুখে হতাশা স্পষ্ট। জানা যায়, আম্পায়ার ত্রিশ গজের বৃত্তে ৩ ফিল্ডার থাকার কারণে ডেড বল ডেকেছেন। কিন্তু ধারাভাষ্যকাররা জানালেন, এমন ঘটনায় নো বল ডাকার বিধান। 

ডাগআউট থেকেও নো বলের সংকেত দিচ্ছিলেন বাংলাদেশের কোচ সোহেল ইসলাম, সাথে তাওহীদ হৃদয়। অধিনায়ক আকবর আলী ছুটে গেলেন চতুর্থ আম্পায়ারের দিকে। সবাই ঘিরে ধরলেন ম্যাচ অফিসিয়ালদের। ক্রিজে থাকা রেজাউর রহমান রাজা অন ফিল্ড আম্পায়ারের সাথে কথা বলতে থাকেন। এ যেন নিদহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্তেরই আরেক রূপ!  

 

পরবর্তীতে জানা যায়, বৃত্তের ভেতরে ৪ জন ফিল্ডারই ছিলেন। তবে একজন ফিল্ডার ছিলেন সীমানা দড়ির বাইরে। নাসির হোসেন সেই সূত্রেই ডাক দিয়েছেন নো বলের। এক পর্যায়ে চতুর্থ আম্পায়ার আকবর ও বাংলাদেশের অন্যদের তর্ক থামিয়ে ডাগআউটে গিয়ে বসার নির্দেশ দেন। কিন্তু ততক্ষণে বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছেন ন্যায্য ৭ রান থেকে। নো-বল এবং ছয় থেকে ৭ রান ছাড়াও ফ্রি-হিটও পায়নি বাংলাদেশ। 

ম্যাচের ধারাভাষ্যকাররাও নো বলের বদলে ডেড বল ডাকায় অবাক হয়েছেন। ক্রিকেটের  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠছে প্রশ্ন, তোপের মুখে পড়েছেন আম্পায়ার নাসির হোসেন। বাংলাদেশও অবশ্য মোমেন্টার হারিয়েছে সেই মুহূর্ত থেকে। আগের ৩ ওভারে ২৭ রান তোলা বাংলাদেশ পরের ৩ ওভার থেকে পেয়েছে মোটে ১৭ রান।

বিতর্কিত সেই ওভারে বাংলাদেশ পেয়েছে মোটে ৬ রান। শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের জয় পেতে দরকার ছিল ৩১ রান। এর মধ্যে প্রথম ওভারে ৮ রান এলেও, ২০তম ওভারে রনিরা সর্বসাকুল্যে ৩ রান তুলতে পারে। ফলে তাদের হারতে হয় ১৯ রানে। রনি থেমেছেন ২৫ বলে ৩৮ রান করে। 

জেএ