মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনেই পড়েছিল ১৬ উইকেট। বাংলাদেশ মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাও। স্কোরবোর্ডে ১০৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল। অবশ্য এরপরই লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের কল্যানে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়া বাহিনী। 

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বেশ ভালো অবস্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের শুরুতে আজ ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল প্রোটিয়া ব্যাটাররা। প্রথম সেশনে সফরকারী ব্যাটারদের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি টাইগার বোলাররা। তবে দ্বিতীয় সেশনে জোড়া আঘাত হেনে ম্যাচের লাগাম টানার চেষ্টা চালান পেসার হাসান মাহমুদ। এরপরও প্রতিপক্ষের লো-অর্ডার ব্যাটাররা ভুগিয়েছেন টাইগার বোলারদের।

দিন শেষে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাসান মাহমুদ  বলেন, 'টেস্ট ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতি আসে যে কোনো সময় জুটি হয়ে যায়। অহরহ হয়ে থাকে। আমরাও দেখি, দেখতে দেখতে বিরক্তি চলে আসে। ঐ মুহূর্তে চেষ্টা করি কতটা রান না দিয়ে, ইকোনোমিক্যাল বল করা যায়। বেসিক তো ধরে রাখতে হবে তাই না। উইকেট নেওয়ার জন্য বল করা, ব্যাটারকে চাপে রাখা- এটাই আপনার হাতে আছে।'

হাসান আরো বলেন, 'টেলএন্ডারের রানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। ওদের উইকেটও গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটারদের যে প্ল্যানে বল করা হয় ওদেরই একইভাবে করা হয়। হয়ে যায় অনেক সময়… চেষ্টা ছাড়া যাবে না।'

পার্ট টাইম বোলার ব্যবহার না করা নিয়ে হাসান বলেন, 'অকেশনাল দিয়ে করানোর চেয়ে তো মেইন বোলার দিয়ে করানোই ভালো, তাই না? যারা উইকেট টেকিং ডেলিভারি অকেশনাল থেকে বেশি করতে পারে। ক্যাপ্টেন যেটা করে ভালোর জন্যই করে।'

টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে কাইল ভেরেইনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান তোলে প্রোটিয়ারা। লিড দাঁড়ায় ২০২। প্রোটিয়া উইকেটকিপার ব্যাটারের ১৪৪ বলে ১১৪ রানের ইনিংসটাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে অনেকটা। 

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করেছে স্বাগতিকরা। সফরকারীদের চেয়ে এখনো পিছিয়ে আছে ১০১ রানে। 

এসএইচ/এফআই