মিরপুরের স্টেডিয়াম পাড়ায় এই মুহূর্তে প্রবেশ করলে কিছুটা চমকে যেতে পারেন। স্টেডিয়ামের বাইরে পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সশস্ত্র পাহাড়ায় যেন চারদিকে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব বিরাজ করছে।

নিরাপত্তা জোরদারে আশপাশের দোকানগুলোও সব বন্ধ রাখা হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভেতরে যারা যেতে চাচ্ছেন, তাদের পেরোতে হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি। এমনকী অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড থাকাদেরও সহজে নিস্তার মিলছে না।

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়ামের আশপাশ। ছবিটি ক্রিকইনফোর।

ঘরের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। টাইগার অলরাউন্ডারের পক্ষে-বিপক্ষে গত কয়েক দিনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজ টেস্টের প্রথম দিন থেকেই মিরপুর হোম অব ক্রিকেটের আশপাশের এলাকা বলতে গেলে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।  

সাধারণত মিরপুরে খেলা থাকলে দর্শকদের মাঝে বাড়তি একটা উন্মাদনা কাজ করে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্টের প্রথমে দিনের প্রথম সেশনে চিত্রটা ভিন্ন দেখা গেছে। দর্শকদের উপস্থিতি অবশ্য কমই দেখা গেছে অন্য টেস্টের তুলনায়। এটাও অবশ্য ঠিক, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের তুলনায় টেস্টে মাঠে দর্শক অপেক্ষাকৃত কম থাকে।

এদিন শুরুর দিকে দর্শক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে, তবে সেটাও বলার মতো না। টেস্ট ক্রিকেটে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় বিনা টিকিটে খেলা দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। এদিন অবশ্য টিকেট ছাড়া কোনো দর্শকেরই মাঠে প্রবেশের সুযোগ ছিল না।

এদিকে, দর্শক আগ্রহ কম থাকার একটা বড় কারণ হতে পারে মাঠে নাজমুল হোসেন শান্তদের বেহাল দশা। মিরপুরে বছরের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। 

এসএইচ/এফআই