ইমার্জিং এশিয়া কাপে জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। তুলনামূলক খর্ব শক্তির হংকংকে সহজেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ 'এ' দল। কিন্তু এবার আফগানিস্তান 'এ' দলের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি টাইগার ব্যাটাররা। অল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারেননি বোলাররাও। আফগানিস্তানের কাছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট মাঠে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে বাংলাদেশ এ দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৫৪ রান করেছেন ইমন। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ১ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।

১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। নতুন বলে আফগানদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। ২৪ রানের মধ্যে আফগানদের টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে ফেরত পাঠায় তারা। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি করিম জানাতও। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার ১৩ বলে ৯ রান করে ফিরলে ৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

তবে এরপর ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান। শহিদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন সাদিকুল্লাহ আতাল। ১৯ রান করে শহিদুল্লাহ ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তবে ততক্ষণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আফগানদের হাতে। এরপর মোহাম্মদ ইশাক ও শরফুদ্দিন আহম্মদ দ্রুত ফিরেছেন। তবে সেটার প্রভাব রান রেটে পড়তে দেননি আতাল।

এক প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তোলেন আতাল। তার ৫৫ বলে অপরাজিত ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আলিস আল ইসলাম ও রিপন মন্ডল।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ 'এ' দলের। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৭ বল খেলে মাত্র ৪ রান করতে পেরেছেন জিশান আলম। শুরু থেকেই ভুগতে থাকা এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফিরেছেন বিলাল সামির বলে বোল্ড হয়ে।

তবে আরেক ওপেনার ইমন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। এক প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তোলেছেন এই ওপেনার। মাত্র ২৬ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি পেয়েছেন ইমন। মাইলফলক ছুঁয়ে আর বেশি দূর এগোতে পারেননি তিনি। ৪ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৩২ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।

ইমনের গড়ে দেওয়া ভিত কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার সাইফ হাসান ও আকবর আলি দ্রুত ফেরায় রানের লাগাম টেনে ধরে আফগানরা।

দলীয় শতকের আগেই ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে পঞ্চম উইকেট জুটিতে। তাওহিদ হৃদয় ও শামিম হোসেন মিলে অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেন ৪৫ বলে ৭০ রান। তাতে দেড়শ ছাড়ায় বাংলাদেশের রান। হৃদয় অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। আর শামিম ৩৮ রান করেছেন।

এইচজেএস