বেঙ্গালুরু স্টেডিয়ামে প্রায় ১৯ বছর পর হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। ৩৬ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট হেরেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। নিজেদের ইতিহাসে বেশকিছু লজ্জার সাক্ষী বেঙ্গালুরুর এই টেস্টে হয়েছে ভারত। তবে ম্যাচ শেষে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে যে চিত্র দেখা গিয়েছে তাতে ভারত কিছুটা অন্তত স্বস্তি খুঁজে নিতেই পারে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হতেই যে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ শামি। 

বিশ্বকাপের ফাইনালের পর এই পেসারকে আর দলের সঙ্গেই পায়নি ভারত। পায়ের চোট থেকে সেরে উঠার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী এই পেসার। চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজের ভারত দলে নেই তিনি। তবে আসন্ন বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে তার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তারই সম্ভাবনা জোরালো করলেন বেঙ্গালুরুতে পুরোদমে বোলিং করে। 

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বোলিং করেছেন শামি। এর পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের কিছু ড্রিলও সম্পন্ন করেন শামি। তার বোলিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার। এছাড়া বোলিং কোচ মরনে মরকেলও দেখেছেন শামির বোলিং।

পুরো এক ঘণ্টার বোলিংয়ে কোনো অস্বস্তি দেখা যায়নি শামির। শেষ দিকে ফিল্ডিংয়ের ড্রিলের আগে কিছুক্ষণ বিরতি নিতে দেখা যায় তাকে। স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটা থেকে বোলিং শুরু করেন শামি। ব্যাটিং করছিলেন নায়ার। পুরো রানআপে বোলিং চালিয়ে গেছেন মোহাম্মদ শামি।

এর আগে বেঙ্গালুরু টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেও ৪৫ মিনিটের মত বোলিং করেন শামি। সেবার পুরো রানআপের পাশাপাশি ছোট রানআপেও বল করেন মোহাম্মদ শামি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ২৪ উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন মোহাম্মদ শামি। সেই বিশ্বকাপেই জাভাগাল শ্রীনাথকে টপকে হয়েছিলেন বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। কিন্তু এরপরেই থমকেছে তার যাত্রা। পায়ের ইনজুরির কারণে প্রায় ৯ মাস ধরেই আছেন মাঠের বাইরে। 

জেএ