সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের দুটো ফরম্যাটের বিদায় হচ্ছে দেশের বাইরে, তা অনেকটাই নিশ্চিত। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বিদায় বলেছেন বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে। সেটা ছিল ক্যারিবিয়ান ভূমিতে। ওয়ানডের বিদায়টাও দেশের বাইরে, সেটাও একপ্রকার নিশ্চিত।

দেশের মাঠে সাকিবের বিদায়ের সুযোগ কেবল টেস্ট ফরম্যাট থেকে। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেই টেস্ট থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।  

চট্টগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে এমন পরামর্শের পেছনে ব্যাখ্যাও জানালেন আসিফ। সেখানেও মুখ্য হয়ে উঠল নিরাপত্তার ইস্যুটাই। আসিফ মাহমুদের ভাষ্য, ‘সাকিব আল হাসানের যে বিষয়টা আমি সেটা একটা বিবৃতির মাধ্যমে আমার পেইজ থেকে স্পষ্ট করেছি। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনে যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ না ঘটে এবং খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই বিসিবিকে এই পরামর্শ দিয়েছি আপাতত দেশে না আসার পরামর্শ আমি বিসিবিকে দিয়েছি এবং বিসিবি সেই অনুযায়ী কথা বলেছে।’ 

ক্রীড়া উপদেষ্টার বলেন, ‘নিরাপত্তা কিন্তু এটা না যে নিরাপদে দেশে এনে খেলানো, নিরাপত্তা এটাও যে দেশে আসলে যদি নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটার কোনো সম্ভাবনা থাকে সেটাকেও আগে থেকে অকার্যকর করা। উভয় দিক থেকেই নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।’ 

মিরপুরে সাকিব বিরোধী আন্দোলন এবং স্টেডিয়ামের দেয়ালে বিভিন্ন লিখন আসিফ মাহমুদের নির্দেশে হয়েছে এমন দাবি ছিল বেশকিছু আন্দোলনকারীর। যদিও এমন কোনো নির্দেশনা ক্রীড়া উপদেষ্টা দেননি বলে জানালেন তিনি, ‘আমি একটি ভিডিও দেখেছি যেখানে একজন ছাত্র বলছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা বলে গেছেন। আমি বিসিবিতে যখন প্রেস ব্রিফিং করি আমি বলেছিলাম আন্দোলন করা বা মত প্রকাশ করা সবার সাংবিধানিক অধিকার এবং এটাকে যদি কেউ মিসরিড করে বা মিসলিডিং কোনো বক্তব্য দেয় সেটার দায় কিন্তু আমার না।’ 

‘আন্দোলন করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, আমরাও আন্দোলন করেছি। অভ্যুত্থান করেছি তারপরে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।’– যোগ করেন আসিফ মাহমুদ। 

এসএইচ/জেএ