দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের মাধ্যমে সাধারণত পাইপলাইনের ক্রিকেটার উঠে আসে। বাংলাদেশে জাতীয় প্রিমিয়ার লিগও (এনসিএল) সেক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বরাবরের মতো চলতি বছরও মাঠে গড়াচ্ছে এনসিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। আগামীকাল (শনিবার) থেকে শুরু হতে যাওয়া আসরের আগে আজ শুক্রবার ২৬তম এনসিএলের পৃষ্ঠপোষকের নাম ঘোষণা হয়েছে। 

স্পন্সর ঘোষণার দিনে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের একজন মনোবিদ আছে। যিনি প্রয়োজনে আসেন, এইচপিতে কাজ করেন। তার সঙ্গে নিয়মিত জাতীয় লিগের কোচ-অধিনায়করা বেশ অনেকগুলো সেশন করবে অনলাইনে। ধারণাটা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট কীভাবে খেলানো যায়, ওই সংস্কৃতিটা কীভাবে আমরা এখানে ঢোকাতে পারি।’

‘আমরা যদি অস্ট্রেলিয়া ধরি বা ইংল্যান্ড, এমনকি ভারতও; তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। এখানে গর্বের ব্যাপার আছে। ওই লেভেলের ক্রিকেটে সফল হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওই জিনিসটা কিন্তু আমরা এখানে তেমন দেখি না। সেই ব্যাপারগুলো কীভাবে আনা যায় সেটারও একটা চেষ্টা থাকবে’, আরও যোগ করেন তিনি।

জাতীয় ক্রিকেট লিগে এবার চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া রানার্স-আপ দল পাবে ১৫ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার ও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার পাবেন এক লাখ টাকা করে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় পাবেন ২ লাখ টাকা। ম্যাচসেরা হলে ৩০ হাজার ও প্রতিটি জয়ের জন্য দেওয়া হবে ৮০ হাজার টাকা করে।  

এনসিএলের এবারের আসরেও আটটি দল অংশ নিচ্ছে। আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। খুলনার শেখ আবু নাসের ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট ও কক্সবাজারের দুটি করে ভেন্যু, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। 

এসএইচ/এএইচএস