সিরিজের প্রথম টেস্টে ইতিহাসগড়া ব্যবধানে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। মুলতানের সেই একই পিচে এবার শান মাসুদের দলটি সফরকারীদের ওপর চড়ি ঘোরাচ্ছে। সাজিদ খানদের স্পিন ঘূর্ণির পর প্রথম ইনিংসে পাওয়া ৭৫ রানের লিড পায় পাকিস্তান। এরসঙ্গে আর ২২১ রান যোগ করতেই স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর– দিন শেষ হওয়ার আগে দ্রুত ইংল্যান্ডের ২ উইকেট তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।

তৃতীয় দিনে আজ (বৃহস্পতিবার) দুই দল মিলিয়ে পড়েছে ১৬ উইকেট। দিনের শুরুতে ইংল্যান্ড খেলতে নামে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান নিয়ে। পরবর্তীতে তাদের প্রথম ইনিংস থামে ২৯১ রানে। আগেরদিন বেন ডাকেটের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ৭৫ রানে পিছিয়ে থেকেই তারা গুটিয়ে যায়। ডাকেট ছাড়া ইংলিশদের ইনিংসে জো রুট ৩৪, ওলি পোপ ২৯, জ্যাক ক্রাউলি ২৭ এবং জ্যাক লিচ করেন ২৫ রান। বিপরীতে পাকিস্তানের দুই স্পিনার মিলে নেন ১০ উইকেট। সাজিদ খান ৭টি আর নোমান আলির শিকার ৩টি।

৭৫ রানের লিড পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। তারাও কুপোকাত হয়েছে স্পিনারদের ঘূর্ণিতে। যার শুরুটা হয় আব্দুল্লাহ শফিককে দিয়ে। প্রথম ইনিংসে ৭ রানের পর এবার তিনি ফিরলেন মাত্র ৪ রানে। এরপর অবশ্য পাকিস্তান উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ অধিনায়ক শান মাসুদ (৩ ও ১১)। এ ছাড়া সাইম আইয়ুব ২২ এবং আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কামরান গুলাম ২৬ রানে ফিরলে পাকিস্তান চাপে পড়ে যায়। পাকিস্তানের তিন টপ-অর্ডারকেই ফিরিছেন শোয়েব বশির।

সেই চাপ সামলানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। যদিও দুজনেই ফিরেছেন ক্রিজে সেট হয়ে। শাকিলকে ৩১ রানে জ্যাক লিচ এবং ২৩ রান করা রিজওয়ানকে ফিরিয়েছেন ব্রাইডন কার্স। ১৫৬ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে তাদের পুঁজিটা বড় হওয়ার কৃতিত্ব সালমান আলি আগার। সাজিদের সঙ্গে জুটি বেঁধে নবম উইকেটে তিনি স্কোরবোর্ডে ৬৫ রান যোগ করেন। তার বিদায়ের পর আর কোনো রান যোগ না হতেই পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২২১ রানে।

স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন সালমান। বিপরীতে ইংলিশদের পক্ষে শোয়েব বশির সর্বোচ্চ ৪ এবং লিচ ৩ উইকেট শিকার করেন। দুই পেসার ব্রাইডন কার্স (২) ও ম্যাথু পটস নিয়েছেন বাকি ৩ ‍উইকেট।

শেষ বিকেলটা হয়তো নিরাপদে পার করার লক্ষ্য ছিল ইংলিশদের। কিন্তু দলীয় ১ রানেই বেন ডাকেটের পর ১১ রানে আউট হয়ে যান আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রাউলিও। দুজনকে বিদায় করিয়েছেন সাজিদ ও নোমান। দিন শেষ হওয়ার আগে পোপ ২১ ও রুট ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ২৬১ রান আর পাকিস্তানের চাই ৮ উইকেট। যেকোনো একদলের সমীকরণ হয়তো আগামীকাল চতুর্থ দিনেই মিলে যেতে পারে!

এএইচএস