ঘরের মাটিতে দেশের মানুষের সামনে বিদায়ী টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে রেখে তাই মিরপুর টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আমেরিকা থেকে দেশের উদ্দেশে রওনাও করেছিলেন সাকিব। কিন্তু দুবাই আসার পর ঘটল বিপত্তি। বিক্ষুব্ধদের আন্দোলনের মুখে তাকে ঢাকায় ফিরতে নিরুৎসাহিত করেন বিসিবি সভাপতি।

আজ দিনজুড়ে সাকিবকে নিয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা আলোচনা চলছে। যত সময় গড়াচ্ছিল ততই সাকিবের দেশে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ হচ্ছিল। এর মধ্যেই কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে দেশে না ফেরার ইঙ্গিত দেন সাকিব।

টাইগার এই অলরাউন্ডারের সঙ্গে কথা হয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট 'ক্রিকইনফো'রও। বর্তমান পরিস্থিতিতে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে কোথায় যাব, জানি না। তবে এটা প্রায় নিশ্চিত যে আমি দেশে ফিরছি না।’

এদিকে, সাকিবের দেশে ফেরা ইস্যুতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তাকে দেশে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে, সাকিবকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতেও আন্দোলন হয়েছে। ‘মিরপুরের ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের সামনে প্রথমে তারা বিক্ষোভ করেন। পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। যেখানে ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টের স্কোয়াড থেকে সাকিবকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠেছে।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের উদ্দেশে দেওয়া স্মারকলিপিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা বলছে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল জায়গায় যে পরিবর্তন হয়েছে তার অংশ আপনি নিজে। যদি এই গণঅভ্যুত্থান না হতো, তাহলে আপনি বিসিবি প্রধান হতেন না। তাই আপনার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ফ্যাসিবাদ নির্মূল করে নিজের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা। আপনি কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন করতে পারেন না। আপনি পারেন না বাংলাদেশের জার্সি একজন ভোটচোর এমপির গায়ে জড়িয়ে দিতে। এই কাজের মাধ্যমে আপনি কেবলমাত্র পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী ও সাবেক বিসিবি প্রধান পাপনের প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে যাচ্ছেন।

এফআই