নিউজিল্যান্ড ভারতে এসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতেই পারেনি নয়ডা টেস্টে। বেঙ্গালুরু টেস্টেও প্রথমদিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। দুই টেস্ট মিলিয়ে ৬ দিন অপেক্ষার সব শোধ যেন তুলল ভারতের ওপর। টিম সাউদি রোহিত শর্মার উইকেট নিয়ে শুরু করেছিলেন ধ্বংসযজ্ঞের। এরপর থেকে একেবারেই পাত্তা পায়নি টিম ইন্ডিয়া। ম্যাট হেনরি আর উইল ও'রুর্কির পেস বোলিংয়ের সামনে অসহায় ছিল ভারত। মাত্র ৪৬ রানে অলআউট নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা পেয়েছে ভারত। 

তবে শুধু এখানেই শেষ হচ্ছে না কীর্তি। পরিসংখ্যান আর রেকর্ডবুকে তাকালে অনেক কিছুই নজরে আসবে। যার মধ্যে সবার ওপরে থাকবে শীর্ষ ৮ ব্যাটারের মধ্যে ৫ ডাক মারার ঘটনা। প্রথম ৮ ব্যাটারের মধ্যে ৫ জনের শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা টেস্ট ইতিহাসে এর আগে আছে কেবল একবার। ১৮৮৮ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৮ ব্যাটারের ৫ জন ডাক মেরে ফিরেছিলেন। 

সেই হিসেবে ১৩৬ বছর পর টেস্টে এমন লজ্জা পাওয়া দ্বিতীয় দল হলো ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের হয়ে এদিন ডাক মেরেছেন বিরাট কোহলি, সরফরাজ খান, লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই সঙ্গে অবশ্য আরও বেশকিছু লজ্জার রেকর্ডে নাম তুলেছে এদিন ভারত। সবমিলিয়ে রেকর্ডের সংখ্যাটা অবশ্য অনেকটাই বেশি। 

৪৬ অলআউট 

  • ভারতের টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। । এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০২০ সালে ৩৬ আর ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত করেছিল ৪২ রান। ঘরের মাঠে এটিই ভারতের টেস্টে সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। 
  • নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও এটিই সবচেয়ে কম রানে আউট হওয়ার নজির। 
  • ভারতের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বনিম্ন রানের স্কোর। গত বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছিল মাত্র ৫৫ রানে। 
  • এশিয়ার মাঠে টেস্টে সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। এর আগে ৫৩ রান পাকিস্তান করেছিল ফয়সালাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে (১৯৮৬ সাল) এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শারজাহ স্টেডিয়ামে (২০০২ সাল)। 
  • এছাড়া টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে এটি চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর। 

০, ০, ০, ০ এবং ০ 

  • ১৮৮৮ সালের পর প্রথমবার শীর্ষ ৮ ব্যাটারের মধ্যে ৫ ডাক। টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার। 
  • এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডাক মারার হিসেবে ভারতের জন্য যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (সর্বোচ্চ ৬ বার) 
  • ঘরের মাঠে প্রথমবার ভারতের শীর্ষ ৭ ব্যাটারের মধ্যে ৪ ডাক। 

৪৬/১০ 

  • ভারতের মাঠে পেসারদের জন্য সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগার। সবশেষ ভারতে পেসারদের ১০ উইকেট নেয়ার কীর্তি ছিল ২০০৮ সালের আহমেদাবাদ টেস্টে। সেবার ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া পেসাররা সেদিন ৬১ রান খরচায় ১০ উইকেট নিয়েছিলেন।  

এছাড়া এদিন ভারতের ৯ জন ব্যাটার আউট হয়েছেন সিঙ্গেল ডিজিটে। ভারতের হয়ে ইতিহাসে মাত্র চতুর্থবার ৯ জন ব্যাটার সিঙ্গেল ডিজিটে সাজঘরে ফিরেছেন।

জেএ