ভারতের ইনিংসে চার ডাক, ৫৫ বছর পর নতুন লজ্জা
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চোখে রীতিমত অন্ধকার দেখতে হচ্ছে ভারতকে। নিউজিল্যান্ড ভারতে এসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতেই পারেনি নয়ডা টেস্টে। বেঙ্গালুরু টেস্টেও প্রথমদিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। তবে দ্বিতীয় দিনে মাঠে নেমেই স্বাগতিক ব্যাটারদের ওপর চড়াও হয়েছে নিউজিল্যান্ড। লাঞ্চের আগে ৩৪ রান তুলতেই নেই ভারতের ৬ উইকেট। তারমাঝে ৪ জন ফিরেছেন শূন্য রানে।
৩৪ রানে ৬ উইকেট পতনের ঘটনা ভারতের জন্য ঘরের মাঠে বিগত ৫৫ বছরে সবচেয়ে দ্রুত প্রথম ছয় উইকেট হারানোর ঘটনা। এর আগে ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই হায়দরাবাদ টেস্টে ২৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল তারা। তবে এবারে নিউজিল্যান্ডের পেস ইউনিট এমন কিছু করবে তা হয়ত ভেবেও দেখেনি ভারত।
বিজ্ঞাপন
তিন স্পিনার আর দুই পেসার নিয়ে বেঙ্গালুরুতে খেলতে নেমেছে টিম ইন্ডিয়া। ধারণা ছিল স্পিনসহায়ক উইকেটের। কিন্তু, দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা মূলত নিজেদের করে নিয়েছেন কিউই পেসাররা। যার শুরুটা ৯ রানে রোহিত শর্মার উইকেট নিয়ে। বড় শট খেলতে গিয়ে টিম সাউদির বলে ভারত অধিনায়ক হয়েছেন বোল্ড।
ক্রিজে নেমে শুরু থেকেই খাবি খাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। উইল ও’রুর্কি কিছুটা বাড়তি বাউন্সে কোহলিকে ফেলেছেন ফাঁদে। লেগ গালিতে গ্লেন ফিলিপ্সের অসাধারণ ক্যাচে ডাক মেরে ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারেই ম্যাট হেনরির বলে আলতো শট খেলতে গিয়ে ডেভন কনওয়ের আরেকটি অসামান্য ক্যাচে ফিরতে হয় সরফরাজ খানকে।
এই ম্যাচে শুভমান গিলের বদলি নেমেছেন সরফরাজ। টেস্টে সেই প্রত্যাবর্তন সুখকর হলো না তার। কোহলির মত তিনিও ফিরলেন ডাক মেরে। এরপর ঋষভ পান্ত আর যশস্বী জয়সওয়াল কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও সেটা হয়নি। দুজনের জুটি টিকেছে ২৩ রান পর্যন্ত। এরইমাঝে হানা দেয় বৃষ্টি। সেই বিরতির পর ফের আঘাত করে নিউজিল্যান্ড।
যশস্বী জয়সওয়াল ৬৩ বলে ১৩ রান করে ক্যাচ দিতে বাধ্য হয়েছেন। এরপরেই ডাক মেরেছেন লোকেশ রাহুল এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ভারতের রান তখন মোটে ৩৪। এরপরেই আসে লাঞ্চ বিরতি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এদিন ও’ রুর্কি পেয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট গিয়েছে ম্যাট হেনরির কাছে। ১ উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি।
জেএ