আরও একবার ব্যর্থ পাকিস্তানের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুবর্ণ এক সুযোগ ছিল তাদের সামনে। কিন্তু চাপ সামলে সেই লক্ষ্য পূরণ করা হয়নি তাদের। সেমিতে যেতে হলে নিউজিল্যান্ডের ১১১ রানের টার্গেট পার করতে হতো ১০.৪ ওভারে। বড় রকমের ব্যাটিং ধসের কারণে সেটা আর করা হয়নি তাদের। ৫৬ রানেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস। 

এমন এক হারের পর বেশ হতাশ পাকিস্তান নারী দলের কোচ মোহাম্মদ ওয়াসিম। দলের মেয়েদের চাপ সামলানোর সক্ষমতা না এলে আইসিসি ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা সম্ভব না বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন এখন থেকে পাকিস্তানের নারী ক্রিকেট দলকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেজন্য নতুন মুখ নিয়ে আসার কথাও জানালেন তিনি। 

মোহাম্মদ ওয়াসিম বেশ হতাশা নিয়েই বললেন, ‘যখন আপনি সামনে এগুতে চাইবেন, এমন কিছু খেলোয়াড় দরকার তাদের চাপ সামাল দেয়ার এবং প্ল্যান ভালোভাবে পূরণ করার দক্ষতা আছে। আমি সবসময় বলি, দলের সিনিয়ার ক্রিকেটারদের এগিয়ে আসতে হবে। দূর্ভাগ্যবশত আমরা দেখেছি ব্যাটিংয়ের জটিল সময়ে সিনিয়ার ক্রিকেটারদের কেউই দায়িত্ব পালন করেনি। তাই আমি বলছি, আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং নতুন কিছু মুখ দরকার।’ 

সামনেই পাকিস্তানের নারী ক্রিকেটে ঘরোয়া আসর রয়েছে, সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলও নিজেদের ক্যাম্প শুরু করেছে। মোহাম্মদ ওয়াসিম বিশ্বাস করেন, সেখান থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন কিছু মুখ যুক্ত হতে পারে। ‘আমি বলব না, আমাদের হাতে মেধাবী মুখ নেই। তাই এটা কোনো অজুহাত হতেই পারে না।’ 

পাকিস্তানি কোচের ভাষ্য, ‘যখন ফলাফল আসছে না। তখন আপনি দেখতে চাইবেন হাতে আর কি বিকল্প আছে। নতুন শক্তি আর নতুন মুখ যখন দলে আসে, এতে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। এমন না যে, আমাদের মেয়েদের দক্ষতা নেই। আমরা ঘরোয়া আয়োজন করছি। আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখব, আমাদের হাতে কার কার বিকল্প আছে। পরের ইভেন্টের আগে সময় আছে। তাই আশা করি নতুন কিছু মেধাবী মুখ তুলে আনব। 

এবারের পুরো আসরেই ব্যাট হাতে পাকিস্তান হতাশ করেছে দলের ভক্তদের। দলে একমাত্র অধিনায়ক ফাতিমা সানাই ১০০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। আসর শেষ করেছেন ১২৫.৪৯ স্ট্রাইকরেট নিয়ে। এছাড়া নিদা দারের ৯০.৯০ স্ট্রাইকরেট বাদ দিলে আর কোনো পাকিস্তানি ব্যাটারই ৮০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করতে পারেননি। পাকিস্তান কোচের নতুন মুখ খুঁজে নেয়ার তাগিদটাও তাই খুব একটা অমূলক না। 

জেএ