ভারতে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের শুরুটা হয়েছিল সৈয়দ মোস্তাক আলী টি-২০ ট্রফি দিয়ে। দুই বছর আগে সেখানে এই নিয়ম চালুর পর গত বছর আইপিএলেও চালু হয় নিয়মটি। আইপিএলে চালু হওয়ার পর থেকেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার পদ্ধতি নিয়ে হয়েছে বিভিন্ন আলোচনা আর সমালোচনা। এর প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন ভারতের জাতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। 

বিভিন্ন বিতর্কের পরেও আইপিএলে আরও দুই মৌসুম পর্যন্ত এই নিয়ম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। তবে মোস্তাক আলী টি-২০ ট্রফিতে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম যেখানে শুরু, সেই মোস্তাক আলী টি-২০ ট্রফির আগামী আসরে থাকছে না  ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম।

গতকাল বিসিসিআই নিজেদের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে জানিয়েছে, ‘বিসিসিআই চলতি মৌসুমের জন্য ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বিসিসিআইয়ের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রাদেশিক অঞ্চলের অনেকেই। তাদের ভাষ্য, এমন নিয়ম আইসিসির বড় আসরে নেই। তাই যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে ভারতের জন্য খেলতে চায়, তাদের জন্য ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নীতি না থাকাই উত্তম। 

পরিসংখ্যান বলছে, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম চালুর পর আইপিএলে গত মৌসুমে বোলারদের ওপরেই চাপ গিয়েছে বেশি। ২০২৪ সালের আইপিএলে ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৯.৫৬; টুর্নামেন্টের এক মৌসুমে যা সর্বোচ্চ। দেখেছে মোট ১২৬০টি ছক্কা, আগের রেকর্ডের চেয়ে যা ১৩৬টি বেশি।

দর্শক বিনোদন পেলেও এই নিয়মের সমালোচক ছিলেন অনেক সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার। এমনকি ভারতের টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক রোহিত শর্মাও এই নিয়মের পক্ষে নন। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট গ্রেট অ্যাডাম গিলক্রিস্টের প্রশ্নের উত্তরে রোহিত বলেছিলেন, ‘ইমপ্যাক্ট সাব নিয়মের আমি ভক্ত নই। এটা অলরাউন্ডারদের পেছনে টেনে ধরবে। দিন শেষে ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়। আশপাশের মানুষের জন্য বিনোদনমূলক করতে আপনি খেলা থেকে অনেক কিছু নিয়ে নিচ্ছেন।’  

 

এই নিয়মে অপছন্দের কথা জানিয়ে কেকেআরের রমনদীপ সিংও বলেছিলেন অলরাউন্ডারদের ভোগান্তির কথা, ‘নেটে বল করি। কিন্তু এখন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম রয়েছে। তাই এক জন অতিরিক্ত বোলার খেলানো যায়। সব দল চেষ্টা করে বিশেষজ্ঞ বোলার খেলাতে। অলরাউন্ডারদের সুযোগ কমে যাচ্ছে।’ 

জেএ