ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে পার্দা উঠবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরের। তার আগে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে প্লেয়ার্স ড্রাফট। এই ড্রাফটে ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ১৮৮ জন স্থানীয় ক্রিকেটার নাম দিয়েছিলেন। আর বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যাটা ছিল আরো বেশি। মোট ৪৪০ জন বিদেশি ক্রিকেটার এই আসরে খেলার আগ্রহ দেখান।

ড্রাফট শেষেও বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার অবিক্রিত থেকেছেন। বিশেষ করে দেশি ক্রিকেটারের মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুমিনুল হক, রুবেল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম অপু ও শুভাগত হোমদের দল না পাওয়া খানিকটা অপ্রত্যাশিত।

মোসাদ্দেক একধিক ফরম্যাটে বাংলাদেশসের জার্সিতে খেলেছেন। তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও সব আসরে নিয়মিত খেলেন তিনি। গত বিপিএলেও খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। তবে এবারের আসরে তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।

টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছেন মুমিনুল হক। লাল বলের ক্রিকেটে এখনও দলের অপরিহার্য সদস্য। সর্বশেষ ভারত সিরিজেও দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন। তবে দল পেলেন না বিপিএলে। এর একটা কারণ হতে পারে বরাবরই তাকে ভাবা হয় টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটার।

এক সময় তিন সংস্করণেই জাতীয় দলের অটো চয়েজ ছিলেন রুবেল হোসেন। ডানহাতি এই পেসার এখন জাতীয় দলের বাইরে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছেন। তবে বিপিএলের মতো গ্ল্যামারাস আসরে দল পেলেন না এই পেসার।

বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল হোসেন অপুকে নিতেও আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল। যদিও বাংলাদেশের মতো কন্ডিশনে বেশ কার্যকরী এই স্পিনার। দল পাননি শুভাগত হোমও। গত আসরেও বিপিএলে খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। তবে এবার তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।

ড্রাফটে দল না পেলেও অবিক্রিতীত খেলোয়াড়দের এখনই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ইচ্ছা করলে এখনও তাদের দলে নিতে পারবে।

এইচজেএস