অধিনায়ক হিসেবে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বাবর আজম বাদ পড়েছিলেন আগেই। নতুন অধিনায়ক শান মাসুদ অবশ্য নিজের প্রথম ৬ ম্যাচের সবকটি ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছেন। তবে ব্যর্থতার দায়টা ঠিকই নিতে হচ্ছে বাবরকে। দলের নির্বাচক আর পিসিবির নিয়োগপ্রাপ্ত ৫ মেন্টরের সুপারিশ অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের ২য় ম্যাচে বাদ পড়ছেন বাবর আজম। 

সাদা পোশাকে গেল দুই বছরে বাবর আজমের গল্প কেবল ব্যর্থতার। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে কোনো টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি করেননি এই ব্যাটার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১ রানের সেই ইনিংসের পর থেকেই বাবরের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিচের দিকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্ল্যাট উইকেটে দুই ইনিংসে ৩৫ রান করেন। ২০২৩ সাল থেকে গত টেস্ট পর্যন্ত নয়টি টেস্টে বাবরের গড় ২১-এর নিচে।

বাবর ২০১৯ সাল সেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় একটি ম্যাচও খেলেননি। জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেলে আসন্ন কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে শেষ অবদি দেখা মিলতে পারে বাবরের। যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর অধিনায়ক শান মাসুদ ঠিকই বাবরকে ‘পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। কোচ জেসন গিলেস্পিও তাকে সমর্থন দিয়েছেন। 

এসবে অবশ্য মন গলছে না পাকিস্তানের নির্বাচক প্যানেল থেকে শুরু করে দলের নীতিনির্ধারকদের। ৫ মেন্টরও ভোট দিয়েছেন বাবরের বিপক্ষেই। নতুন কমিটির মনে হয়েছে, জাতীয় দল থেকে কিছুদিন দূরে থাকলে সেটা বাবরের জন্যই উপকার হবে। যেহেতু তার রান করাটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

প্রথম টেস্ট হারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন এই কমিটি মিলিত হয়েছিল। মুলতানে তারা দ্বিতীয়বারের মতো সভা করে শনিবার। সেই সেশনে ছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি ও তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৫ পরামর্শক। এই বৈঠকে ছিলেন না শান মাসুদ ও জেসন গিলেস্পি। যদিও পাকিস্তানের নবগঠিত নির্বাচক প্যানেলের অংশ তারা দুজনেও। 

নব গঠিত এই নির্বাচক প্যানেল নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। বিশেষ করে সাবেক আম্পায়ার আলিম দারের অন্তর্ভুক্তি ছিল বড় বিতর্ক। আলিম দার ছাড়াও এতে আছেন সাবেক পেসার আকিব জাভেদ, আসাদ শফিক, আজহার আলী ও সাবেক আইসিসি আম্পায়ার আলিম দার, অ্যানালিস্ট হাসান চিমা, অধিনায়ক ও হেড কোচ। 

জেএ