টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের কাছে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে গতকাল (শনিবার) নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৩৩ রানে হেরেছে। টাইগার বোলারদের নাস্তানাবুদ করে শুধু ব্যাটিংয়েই ডজন খানেক রেকর্ড গড়ে ভারত। আইসিসির টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে তারা টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ২৯৭ রান তোলে। বিপরীতে এই সিরিজে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৬৪ রান তুলেও বড় হার দেখে বাংলাদেশ।

এমন হারের জন্য দলের বোলার ও টপ অর্ডার ব্যাটারদের দায় দিয়েছেন ম্যাচটিতে সফরকারীদের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৩ রান করা তাওহীদ হৃদয়। কেবল তাই নয়, পুরো সিরিজেই বাংলাদেশ ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং–সব জায়গাতেই দুর্বলতা দেখিয়েছে বলে দাবি তার। একইসঙ্গে ভারতকে কৃতিত্ব দেওয়ার পাশাপাশি হৃদয় নিজেদের বেশকিছু উন্নতিরও তাগিদ দিয়েছেন।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তরুণ এই ব্যাটার বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, খুবই ভালো উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য। আমরা ভালো বোলিং করিনি। আমরা কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারি। আশা করি আমরা সেটা করতে পারব। আমরা তো বল ভালো করিনি। শুধু বল না, ব্যাটিংও ভালো করিনি পুরো সিরিজে। আমাদের কিছু জায়গায় ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। ওরা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।’

পুরো সিরিজেই চূড়ান্ত ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আগের দুই ম্যাচে দলীয় স্কোর ছিল ১২৭ ও ১৩৫ রান। তৃতীয় ম্যাচে সেটি উঠেছে ১৬৫–এ, তবে সেটি যে রানবন্যা তাড়ায় কিছুই নয় সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। সিরিজজুড়ে ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘দেখুন, প্রতিটা দলেই টপ অর্ডার থেকে রান হয়। সেখানে রান এলে ইনিংস বড় হয় স্বাভাবিকভাবেই। টপ ফোর থেকে যদি বড় রান আসে, তাহলে রান ১৮০ হয়। আমাদের সবকিছু মিলিয়ে অনেক জায়গা আছে উন্নতির। এই সিরিজে আমাদের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করি সেটা করতে পারব।’

ঘরের মাঠ, দক্ষতাসহ সবমিলিয়ে ভারত এগিয়ে ছিল দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মান যে খুব নিচে তা বলব না। আমরা তো বড় দলের সঙ্গে খেলেছি। ভারত শক্তিশালী দল। ওদের হোমে খেলা। ওদের সবকিছু ভালো। স্কিলের দিক থেকেও ওরা এগিয়ে আছে। আমরা যে খুব পিছিয়ে আছি তা বলব না। আমরা ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে খেলতে পারব, সেটা যত খেলব, তত ভালো বুঝব।’

এসএইচ/এএইচএস