বাফুফে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন কেনার সময় ছিল তিন দিন। তিন দিনে ৬২ মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয়েছে। এতে বাফুফের কোষাগারে জমা হয়েছে ২৩ লাখ টাকা। একটি সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে যথাক্রমে ৪ টি ও তিনটি ফরম বিক্রি হয়েছে। ৪ সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে ১২ টি এবং ১৫ নির্বাহী সদস্যে পদের জন্য ৪৩ টি ফরম বিক্রি হয়েছে। কয়েকজন আবার একাধিক পদে ফরম নিয়েছেন।

বাফুফে নির্বাচনে সহ-সভাপতি এক ঝাক সাবেক তারকা ফুটবলার প্রার্থী হয়েছেন। গত নির্বাচনে সভাপতি পদের জন্য লড়াই করা শফিকুল ইসলাম মানিক এবার সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন। ২০১৬ সালের পর আবার সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনে আগ্রহী হয়েছেন তারকা ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির। সাবেক তিন তারকা ফুটবলার ছাইদ হাসান কানন, ইকবাল হোসেন সত্যজিৎ দাস রুপু সহ-সভাপতির পাশাপাশি সদস্যও মনোনয়ন নিয়েছেন। 

সাবেক ফুটবলারদের তারকা খ্যাতি থাকলেও নির্বাচনের মাঠে তারা সুবিধা করতে পারেন না। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম তারকা খেলোয়াড় সাব্বির। অথচ বাফুফের ভোটে দাঁড়ালে আশাব্যাঞ্জক ভোটও পান না। এবার অবশ্য আশায় বুক বাঁধছেন সাব্বির, ‘বিগত সময়গুলোতে নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন ছিল  আমাদের সবার-ই জানা। এবার নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। আশা করি ভোটাররা আমাদের মূল্যায়ন করবে।’

বাফুফে নির্বাহী সদস্য পদে ৪৩ জনের মধ্যে ৪ জন নারী প্রার্থী রয়েছে। বাফুফে নির্বাচনে নারীদের এই অংশগ্রহণ ভালোভাবেই দেখছেন ডেইজি জাফর, ‘নারীদের এই অংশগ্রহণ অবশ্যই ইতিবাচক। আশা করি ভোটাররা আমাদের মূল্যায়ন করবেন।’

১৪ ও ১৫ অক্টোবর মনোনয়ন জমার দিনক্ষণ। মনোনয়ন জমার পর নির্বাচন কমিশন যাচাই-বাছাই করবে। মনোনয়ন পত্রের উপর আপত্তি-শুনানিও রয়েছে। ১৯-২০ অক্টোবর প্রত্যাহারের পরই মূলত বাফুফে নির্বাচনের প্রার্থীতার চূড়ান্ত আকার পরিষ্কার হবে। ২৬ অক্টোবর ১৩৩ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

এজেড/জেএ