পুরো সিরিজেই বাংলাদেশের ব্যর্থতা ছিল একেবারেই সাধারণ এক সত্য। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ভালো কিছু করতে চান। কিন্তু হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে বলতে গেলে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন ভারতের দুই ব্যাটার সাঞ্জু স্যামসন আর সূর্যকুমার যাদব। দুজনের ২৩ বলে ৫৯ রানের জুটির সুবাদে প্রথম ৬ ওভারে ভারত তুলেছে ৮২ রান!

তানজিম সাকিবের বলে অভিষেক শর্মার উইকেট বলতে গেলে একটা স্বান্তনা হয়েই ছিল বাংলাদেশের জন্য। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদকে পরপর ৪ চার মেরে ধ্বংসযজ্ঞের শুরু করেন সাঞ্জু স্যামসন। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারাল ভারত। প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসা তানজিম হাসানকে পুল করতে চেয়েছিলেন অভিষেক শর্মা। বল গেল মিড উইকেটের দিকে। ক্যাচ নেন শেখ মেহেদি। 

পরের বলেই রিভিউ অপচয় বাংলাদেশের। এরপর থেকে শুধুই চার-ছক্কার বৃষ্টি হলো হায়দরাবাদের মাঠে। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ৫০ রানের ঘরে পৌঁছে যায় ভারত। মুস্তাফিজুর রহমানকে এনে রান আটকানোর চেষ্টাও কাজে আসেনি।

১ চার এবং ১ ছক্কা হজম করেছেন দ্য ফিজ। তাসকিনের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসেছে দুটি চার, ১টি ছয়। আর ষষ্ঠ ওভারে তানজিম সাকিবের বল থেকে সূর্যকুমার আদায় করেছেন ৩ চার এবং ১ ছক্কা। দুজনের তাণ্ডবে রীতিমত দিশেহারা বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। 

এর ফলে বেশকিছু রেকর্ডের সাক্ষীও হয়েছেন মাঠে আসা দর্শকরা। ৬ ওভারে ৮২ রান করে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ারপ্লেতে চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর দাঁড় করিয়েছে ভারত। নিজেদের ক্রিকেটে এটাই আবার ভারতের পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ রান। 

জেএ