শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া আগের ম্যাচগুলো থেকেই জানা গিয়েছিল এখানকার পিচ মোটামুটি ব্যাটিং-বান্ধব। সেই পিচেই কিনা রান তুলতে হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে তাদের পুঁজি ছিল মাত্র ১০৩ রানের। সেটি যে যথেষ্ট লক্ষ্য ছিল না তা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েরা হেসেখেলেই প্রমাণ করেছে। ৪৩ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতেছে ক্যারিবীয়রা।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তারকা ব্যাটার হেইলি ম্যাথিউস সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন উইন্ডিজদের। আরেক ওপেনার স্টেফানি টেইলরকে সঙ্গে নিয়ে তারা পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তোলেন ৪৮ রান। অধিনায়ক ম্যাথিউসকে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে (২২ বল) ফিরিয়ে ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মারুফা আক্তার। তবে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিকই তিনি দলের ভিত গড়ে দিয়ে যান।

মাঝে স্টেফানি টেইলর ২৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। আরেক প্রান্তে আগ্রাসী হতে থাকা শেমেইন ক্যাম্পবেলকে ফেরান নাহিদা আক্তার। ১৬ বলে ২১ রানে থাকাবস্থায় এগিয়ে খেলতে গিয়ে তিনি স্টাম্পিং হন। যদিও ততক্ষণে ক্যারিবীয়দের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। দিয়েন্দ্রো দটিন ৭ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে বাংলাদেশের বড় হার নিশ্চিত করেন। নেট রানরেট বাড়ানোর লক্ষ্যেই যে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলেছে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। ২ উইকেট হারিয়ে তারা লক্ষ্য পেরোয় ১২.৫ বলে।

বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মারুফা ও নাহিদা। এই হার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে টাইগ্রেসদের। চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী ১২ অক্টোবর তারা দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১০৩ রান সংগ্রহ করে। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ১৯ রান করেছেন ওপেনার দিলারা আক্তার। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বলার মতো রান পাননি আর কেউই। ক্যারিবীয় মেয়েদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন কারিশমা রামহারাক। ম্যাচসেরার পুরস্কারও তার হাতে উঠেছে।

এএইচএস