তানজিম হাসান সাকিবের খাটো লেন্থের বলে পুল শটের চেষ্টা ছিল নীতিশ কুমার রেড্ডির। টাইমিংয়ের ভুলে উইকেটের পেছনে লিটন কুমার দাসের হাতে যায় ক্যাচ। তবে লিটন পারেননি সেই ক্যাচ নিতে। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ভারতের ব্যাটিং ঝড় শুরুর আগের ঘটনা সেটি। ভারতের স্কোর তখনো ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান। 

লিটন দাসের ক্যাচ মিসে যে জীবন পেয়েছিলেন নীতিশ, সেটার পুরো ব্যবহারটাই তিনি করেছেন শেষ পর্যন্ত। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হওয়ার সময়ে খেলে ফেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। বল খেলেছেন মোটে ৩৪টি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ইনিংসটা নীতিশ সাজিয়েছেন ৪ চার আর ৭ ছক্কা দিয়ে। 

রেড্ডি প্রথম ছক্কা পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৯ম ওভারে এক ফ্রি-হিটের সুবাদে। ভারতের পুরো ইনিংসেরই প্রথম ছক্কা সেটি। এরপর থেকে দিল্লিতে হয়েছে আরও ১৪ ছয়ের মার। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও হলো এদিন। 

রিয়াদের ওই নবম ওভারটাই খুলে দিয়েছিল রানবন্যার সুইচগেইট। যার মূল শিকার হয়েছেন পরের ওভারে বল করতে আসা রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের এই লেগির ওভারে ৩ ছক্কা আর ১ চারে রিঙ্কু-রেড্ডিরা তুলেছেন ২৬ রান। 

মুস্তাফিজকে আনা হয়েছিল রানবন্যা আটকানোর জন্য। তবে তার গুডলেন্থের বল সীমানাছাড়া হয়েছে দুবার। এসেছে ১৩ রান। তাসকিন আহমেদের ৮ রানের ওভারটা বাংলাদেশের ক্ষতে মলিন প্রলেপ। 

ঠিক তার পরের ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজ ফের বিলিয়েছেন ২৬ রান। সেই ওভারেও ৩ ছক্কা আর ১ চার। মুস্তাফিজুর নতুন স্পেলে এসে নীতিশ রেড্ডির উইকেট পেয়েছেন চিরচেনা স্লোয়ার বলের সুবাদে। কিন্তু ততক্ষণে ভারতের রান ১৪.৩ ওভারে ১৪৯। নীতিশ কুমার রেড্ডি ৫ রানে পাওয়া জীবনের সুবাদে নিজের ইনিংসে ৩০ বলে যোগ করেছেন ৬৯ রান। 

হার্দিক পান্ডিয়া আর রিয়ান পরাগরাও যোগ দিলেন ছক্কার উৎসবে। হার্দিক ১৯ বলে ২ ছক্কা হাঁকিয়েছেন, সে তুলনায় পরাগ আরও বিধ্বংসী। ৬ বলের ইনিংসেই ছিল ২ ছক্কা। ২ বলের ইনিংসে ১ ছক্কা মেরেছেন আর্শদীপ সিং। 

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালে ১৪ ছক্কা হজম করেছিল বাংলাদেশ। দিল্লিতে আজ টাইগার বোলারদের বিপক্ষে হয়েছে ১৫ ছক্কা। উইন্ডিজের পক্ষে ২০১২ সালের ওই ম্যাচে মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাট থেকেই ছিল ৯ ছক্কা। এর বাইরে ড্যারেন ব্রাভো আর কাইরন পোলার্ডের ব্যাট থেকে এসেছিল ২টি করে ছক্কা। আর অন্য ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ওপেনার ডোয়াইন স্মিথ। 

জেএ/এইচজেএস