মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ। আজকের ম্যাচের পর আর একটাই ম্যাচ বাকি থাকবে। অবসর ঘোষণার পর দিল্লিতে খেলতে নেমে শেষের শুরুটাও নিশ্চিতভাবেই উপভোগ করেছিলেন তিনি নিজেও। তবে বাংলাদেশের হাতে থাকা ম্যাচটাও খানিকটা ফস্কে গেছে তারই এক নো বলের পরপরই। 

ইনিংসের ৯ম ওভারে আক্রমণে এসে চতুর্থ বলে নো বল করেন রিয়াদ। তার আগে পর্যন্ত ৮.৩ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান। নো বলে পাওয়া ফ্রি হিটে নীতিশ রেড্ডি লং অনের ওপরে হাঁকিয়েছেন ছক্কা। ম্যাচের মোমেন্টামও বদলে যায় সেখান থেকেই। 

একটা পরিসংখ্যানে বিষয়টা আরেকটু খোলাসা করা যাক। পরের ২৯ বলে ভারত তুললো ৮২ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে নীতিশ ৭৪ রান করে ফিরলেও ততক্ষণে ধ্বংসযজ্ঞ ঠিকই চালিয়েছেন ফিরোজ শাহ কোটলায়। নিজের ক্যারিয়ারের মাত্র ২য় ম্যাচে এসে পেয়েছেন ফিফটিও।

রিয়াদের ওই ওভারের শেষ ৩ বলে আসে ১০ রান। তবে সেটা যেন রানবন্যার বাঁধের সুইচগেট খুলে দিয়েছে। যার মূল শিকার হয়েছেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের এই লেগির ওভারে ৩ ছক্কা আর ১ চারে রিঙ্কু-রেড্ডিরা তুলেছেন ২৬ রান। ভাগ্যটাও এরপর থেকে হেসেছে ভারতের পক্ষে। 

মুস্তাফিজকে আনা হয়েছিল রানবন্যা আটকানোর জন্য। তবে তার গুডলেন্থের বল সীমানাছাড়া হয়েছে দুবার। এসেছে ১৩ রান। তাসকিন আহমেদের ৮ রানের ওভারটা বাংলাদেশের ক্ষতে মলিন প্রলেপ। 

কারণ ঠিক তার পরের ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজ ফের বিলিয়েছেন ২৬ রান। সেই ওভারেও ৩ ছক্কা আর ১ চার। মুস্তাফিজুর নতুন স্পেলে এসে নীতিশ রেড্ডির উইকেট পেয়েছেন চিরচেনা স্লোয়ার বলের সুবাদে। কিন্তু ততক্ষণে ভারতের রান ১৪.৩ ওভারে ১৪৯! ম্যাচের ভাগ্যটা ততক্ষণে ভারতের হাতে। সেটাও রিয়াদের ওই নো বলের সুবাদে।

জেএ/এফআই