বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে রয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এরপরই নতুন কোচ দেখা যাবে টাইগার শিবিরে। দেশের মধ্যে থেকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলছে কেউ কেউ। যদিও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানালেন ভিন্ন কথা। 

ভারতের মাটিতে সিরিজ খেলতে ভারতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ক্রিকেটার হিসেবে না হলেও অন্য ভূমিকায় দেশটিতে আছেন তামিম ইকবালও। সুনীল গাভাস্কার, শাস্ত্রী ও আতহারদের সঙ্গে ধারাভাষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এরই ফাঁকে ক্রিকেট সাময়িকী স্পোর্টস্টারকে দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তামিম। 

দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের কোচ বানানোর পথে হাঁটছে অনেক বোর্ডই। প্রতিবেশী ভারতে অনেক বছর ধরেই হেড কোচের পদ ভারতীয়দের দখলে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কাও ক্রিস সিলভারউডের জায়গায় দেশটির কিংবদন্তী সনাৎ জয়াসুরিয়াকে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশেরও তেমন কিছু ভাবা উচিত কি না এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তামিমকে। 

জাতীয় দলে দেশি কোচ ইস্যুতে তামিম বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ বাংলাদেশে এখন আছে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তারা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।’

তবে দেশি কোচদের প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তার সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’

এদিকে নতুন কোচ পাওয়া নিয়ে তামিমের ভাষ্যে, ‘বাংলাদেশের বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করা উচিত। কারণ বিখ্যাত সবাই দলের জন্য ভালো কোচ হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কারা মানানসই, সেটা তাদের (বিসিবি) খুঁজে বের করতে হবে। সেই ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দলে কিছু যোগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।’

এসএইচ/এফআই