প্যারিস অলিম্পিকে ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশন ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের স্বপ্নিল কুশলে। এরপর রাতারাতি বদলে যেতে থাকে এই ক্রীড়াবিদের জীবন। নিজ কর্মস্থলে ডাবল পদোন্নতি হয়।

এমনকী রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক পুরস্কারও দেওয়া হচ্ছে। এতকিছুর পরেও সন্তুষ্ট নন পদকজয়ী ক্রীড়াবিদের বাবা। আরও টাকা ও একটা ফ্ল্যাট দাবি করছেন তিনি।

পদক জয়ের পর কর্মস্থল রেল বিভাগে ডাবল প্রমোশন হয় স্বপ্নিলের। ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার থেকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি হয়েছেন তিনি। মহারাষ্ট্র সরকার থেকে তাকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

যদিও স্বপ্নিলের বাবা সুরেশ কুশল অন্য আরেক রাজ্যের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘হরিয়ানা সরকার সব পদকজয়ীকেই ৫ কোটি রুপি করে দিচ্ছে। মহারাষ্ট্র সরকারের নতুন নীতিতে ব্রোঞ্জ পদক জয়ীরা ২ কোটি রুপি পাবে।’

তার প্রশ্ন, ‘স্বপ্নিল রাজ্য থেকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে দ্বিতীয় পদক জয়ী। এত বছরে যেখানে মাত্র দুজনের পদক রয়েছে, সেখানে ব্রোঞ্জ পেলে কেন মাত্র ২ কোটি টাকা দেওয়া হবে? অথচ সরকার ঘোষণা করেছে সোনা জিতলে ৫ কোটি ও রুপা জিতলে ৩ কোটি দেওয়া হবে। স্বপ্নিল সাদামাটা ঘর থেকে উঠে এসেছে বলেই কি এই বৈষম্য? ও যদি আজ বিধায়ক বা মন্ত্রীর ছেলে হত, তাহলেও কি পুরস্কার এটাই থাকত?’

ক্ষোভ ঝেরে বলেন, ‘যদি জানতাম এরকম বৈষম্য থাকবে, তাহলে ছেলেকে অন্য কোনো খেলায় ক্যারিয়ার তৈরি করতে বলতাম।’ উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে মহারাষ্ট্র থেকে প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে পদক জিতেছিলেন কেডি যাদব।

স্বপ্নিলের বাবার দাবি, ‘তার ছেলের ৫ কোটি টাকা পুরস্কার পাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে পুণের বালেওয়াড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাছে একটা ফ্ল্যাট চাই। যেখান থেকে ও সহজে প্র্যাকটিসে আসতে পারবে।’

তবে সুরেশ কুশলের দাবি নিয়ে অন্য মতও রয়েছে। কারণ হরিয়ানা সরকার সবাইকে ৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না বলেই জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। সেখানে সোনাজয়ীরা ৬ কোটি, রুপোজয়ীরা ৪ কোটি ও ব্রোঞ্জজয়ীরা ২.৫ কোটি পেয়েছেন বলে খবর। 

এফআই