বাংলাদেশকে হারানোর দিনে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিশ্বরেকর্ড
ইনিংস শেষের বাকি দুই বল। মুস্তাফিজুর রহমানের পক্ষ ঠেকানো সম্ভব হলো না। ১৯ দশমিক ৫ ওভারে ভারতের বিপক্ষে অলআউট হলো বাংলাদেশ। পুরো ইনিংসেই বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টির আদর্শ ব্যাটিং করা হয়নি কোনো ব্যাটারের। ৫ম ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর বলে দুই চার এবং এক ছয় আদায় করে নিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়-নাজমুল হোসেন শান্ত।
পুরো ২০ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিসুলভ খেলা দেখা গিয়েছে ওই একবারই। এর আগে বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে ফিরিয়েছিলেন আর্শদীপ। এরপর থেকে মোটাদাগে ভারতের বোলিং লাইনআপের সবাই সফল হয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১২৭ রানে, ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে।
বিজ্ঞাপন
পরবর্তীতে ভারত ম্যাচটাও জিতে নেয় অনায়াসে। তবে এর আগেই নিজেদের একটা বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলে সূর্যকুমার যাদবের দল। ২০০৬ সালে শুরুর পর থেকে সবমিলিয়ে মোট ৪২বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে ভারতের বোলাররা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ। ভারত অবশ্য এই তালিকায় এককভাবে শীর্ষে নেই। তাদের সঙ্গে আছে পাকিস্তানের নামও। ম্যান ইন গ্রিনরাও টি-টোয়েন্টিতে ৪২ বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে।
এরপরেই এই তালিকায় আছে নিউজিল্যান্ডের নাম। ব্ল্যাকক্যাপসরা প্রতিপক্ষকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অলআউট করেছে ৪০ বার। এরপরের নামটা অবশ্য কিছু বিষ্ময় জাগাতে পারে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে। পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা মোট ৩৫বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে ৩২ বার।
আরও পড়ুন
এদিন ভারত নিজেদের ইতিহাসেও নতুন রেকর্ড গড়েছে। বাংলাদেশকে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট করে সেই লক্ষ্য ভারত পেরিয়ে গিয়েছে ৪৯ বল হাতে রেখেই৷ আর এর মাধ্যমে এক রেকর্ড গড়লো সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের দল। ১০০ এর ওপর টার্গেটে ব্যাটিং করে বল হাতে রাখার বিবেচনায় এটি ভারতের সবচেয়ে বড় জয়।
বল হাতে রাখার বিবেচনায় টিম ইন্ডিয়ার এর আগের সবচেয়ে বড় জয় ছিলো ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। হারারেতে সেই ম্যাচে মাত্র ১০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪১ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের জয় পায় ভারত। গতকাল সেটাও টপকে গেল ভারত।
জেএ