ক্রিকেট ছাড়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসেবেই বেশি সময় পার করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। অনেকের কাছেই ক্রিকেটার মাঞ্জরেকারের চেয়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবেই তার গ্রহণযোগ্যতা আর পরিচয় বেশি। কিন্তু এবারে সেই ধারাভাষ্যকক্ষ থেকেই বেফাঁস মন্তব্যের কারণে তোপের মুখে পড়েছেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। এমনকি চলমান নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তাকে বহিষ্কার করার ব্যাপারেও দাবি উঠেছে। 

নারী বিশ্বকাপ চলাকালে ভারত নারী দলের ফিল্ডিং কোচ এবং সাবেক ক্রিকেটারকে না চেনার কথা বলতে গিয়ে মাঞ্জরেকার বলে ওঠেন, ‘দুঃখিত, আমি তাকে চিনি না। উত্তরের খেলোয়াড়দের বিষয়ে আমার বেশি একটা ধারণা নেই।’ উত্তর ভারতের খেলোয়াড় এবং পরবর্তীতে কোচ হওয়া একজনকে চিনতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই তোপের মুখে পড়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। 

ঘটনাটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটিংয়ের ১১তম ওভারের। ভারত তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। এ সময় ক্যামেরায় ভারত নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ অমল মজুমদারকে তুলে ধরা হয়। তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ধারাভাষ্যে থাকা মাঞ্জরেকার বলেন, ‘অমল মজুমদারকে খুশিই মনে হচ্ছে। দলের জন্য এটা ভালো। তারা কোচকে দেখে (ইতিবাচক) প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারবে। তার পাশে আছেন আবিষ্কার সালবি, সহকারী কোচ।’

এ সময় মাঞ্জরেকারের সহ–ধারাভাষ্যকার ক্যামেরার ফ্রেমে থাকা তৃতীয়জনকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এবং তাঁর ডান পাশে মানিশ বালি। সাবেক পাঞ্জাব ক্রিকেটার এবং এই মুহূর্তে দলের ফিল্ডিং কোচ।’ মাঞ্জরেকার তখন মানিশ বালিকে নিয়ে জানান, ‘দুঃখিত। আমি তাকে চিনি না। উত্তরের খেলোয়াড়দের বিষয়ে আমার বেশি একটা ধারণা নেই।’
 
এমন মন্তব্যের পরেই মাঞ্জরেকারকে নিয়ে শুরু হয়েছে বড় রকমের সমালোচনা। মুম্বাই ক্রিকেট এবং অঞ্চলের প্রতি তার আলাদা টান রয়েছে এমন দাবি করে তাকে বর্ণবাদী আখ্যাও দিয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে অমল মজুমদার এবং আবিষ্কার সালাবি দুজনেই মুম্বাই অঞ্চল থেকে উঠে আসায় এই বিতর্কে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। 

 

এমনকি পূর্বে হার্দিক পান্ডিয়া-রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে তার করা মন্তব্যও নতুন করে উঠিয়ে এনেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, মাঞ্জরেকারের সাম্প্রতিক মন্তব্যে ভারতীয় ক্রিকেটের মুম্বাইকেন্দ্রিক আধিপত্য ফুটে উঠেছে। উল্লেখ্য, পান্ডিয়া এবং জাদেজা দুজনেই গুজরাট থেকে উঠে এসেছেন। নতুন মন্তব্যের পর সেটা নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা।  

জেএ