এবার সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ ও ভারত। আগামীকাল (রোববার) মধ্যপ্রদেশের শহর গোয়ালিয়রে দুই দল তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে। ২০ ওভারের এই খেলায় মারদাঙ্গা রোমাঞ্চ দেখা যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ভারতের সব পিচ সে অনুসারে গড়া হয় না। বিপরীতে, গোয়ালিয়রে বড় রানের আভাস মিলেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গড়াচ্ছে এই মাঠে। তবে সংস্কারের পর শ্রীমাণ মাধবরাও সিন্দিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবার আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ হতে চলেছে। এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ এখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিল ভারত। যেখানে প্রথম কোনো পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।

নতুন করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হতে যাওয়া এই পিচের আচরণ কেমন হতে পারে তার একটি ধারণা দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশনের (এমপিসিএ) এক কর্মকর্তা। তিনি সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘জুন মাসে এখানে ১২টি (টি-টোয়েন্টি) ম্যাচ হয়েছিল, যেখানে চার ইনিংসে ২০০–এর রান ওঠে। তবে গড় রান কম হয়েছিল, কারণ তিন-চারটি ম্যাচে বিঘ্ন ঘটে বৃষ্টির কবলে। এই পিচ ব্যাটারদের সহায়তা দেয় এবং রোববারও (বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দিন) সেটি বদলাবে না।’

এই পিচ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমটি মধ্যপ্রদেশ প্রিমিয়ার লিগের কিছু চিত্রও তুলে ধরে। টুর্নামেন্টের ফাইনালে মালওয়া প্যান্থারস এক বল হাতে রেখেই গোয়ালিয়র চিতা’র দেওয়া ১৯৩ রান পেরিয়ে যায়। এর আগে উদ্বোধনী ম্যাচে জাবালপুর লায়ন্স আগে ব্যাট করে তোলে ৪ উইকেটে ২৪৯ রান। জবাবে ভোপাল লিওপার্ডস ২১৬ রান করে। পুরো টুর্নামেন্টে প্রথম ইনিংসের গড় রান ১৭১ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ রান।

এদিকে, আরেক সংবাদমাধ্যম এবিপি উল্লেখ করেছে, সিন্দিয়া স্টেডিয়ামের পিচ সাধারণত লাল মাটির হয়ে থাকে। যেটি বাউন্স ও পেসারদের জন্য উপযোগী। একইসঙ্গে ব্যাটাররাও রান তোলার ক্ষেত্রে সুবিধা পান। বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টির এই ভেন্যুতে নয়টি পিচ প্রস্তুত রয়েছে, প্রধান পিচ রাখা হয়েছে ব্যাটিং-বান্ধব হিসেবে। তবে নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী স্পিন-পেস উভয় বোলারই এখানে সুবিধা আদায় করার রসদ রয়েছে।

আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সূর্যকুমার যাদবের দল। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত ১৪টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে টাইগারদের জয় মাত্র একটি, বাকি ১৩ ম্যাচ গেছে ভারতের দখলে।

এএইচএস